কার্যালয়ে ভাঙচুর
রোগীর গাড়ি আটকে দেওয়া, দফতর খোলা রাখায় সেখানে চড়াও হয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বনধ সমর্থনকারীদের একাংশের বিরুদ্ধে। মালদহের চাঁচল-২ সিডিপিও অফিসে ঢুকে বামেদের নেতৃত্বে ওই ভাঙচুর-সহ ‘তাণ্ডব’ চালানো হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ পৌঁছনোর আগেই পিকেটাররা গা ঢাকা দেন। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পিকেটিং না থাকায় এ দিন সকাল ১০টায় অফিস খোলা হয়। পরে একদল বনধ সমর্থনকারী দফতরে চড়াও হয়ে অফিস বন্ধ করতে বলেন। কিন্তু তাতে রাজি না হওয়ায় দফতরের চেয়ার, টেবিল ভেঙে, ফাইলপত্র লণ্ডভণ্ড করে দেওয়া হয়। সিডিপিও প্রফুল্ল রায়ের অভিযোগ, “বামেদের নেতৃত্বে তাণ্ডব চালানো হয়। পিকেটিং না থাকায় দফতরে ঢুকে কাজ শুরু হয়। কিন্তু পরে এসে তারা দফতর বন্ধ করতে বলেন। রাজি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তারা তান্ডব শুরু করে। ওই ভাঙচুরের ঘটনা ছাড়া চাঁচল মহকুমায় আর কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও এদিন চূড়ান্ত নাকাল হতে হয় জরুরি কাজে বের হওয়া মানুষজনকেও।”
ছবিটি তুলেছেন বাপি মজুমদার।
এদিন চিকিৎসার জন্য হরিশ্চন্দ্রপুরের ডাঙ্গিলা গ্রাম থেকে ভিনরাজ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ৭ বছরের এক বালককে। ট্রেন ধরার জন্য একটি ছোট গাড়িতে রওনা হলেও তুলসীহাটায় তাদের আটকে দেওয়া হয়। পরে বাইকে তারা বারসই রওনা হন। বালকের কাকা বরকত আলি বলেন, “বহু অনুনয় করলেও বনধ সমর্থনকারীরা পরোয়া করেননি।” এ দিন মহকুমাশাসকের দফতর, বিডিও অফিস খোলা থাকলেও কর্মীদের উপস্থিতি ছিল না বললেই চলে। মালদহ-শিলিগুড়িগামী সরকারি দুটি বাস পথে নামলেও তাতে যাত্রী ছিল না। স্কুল, কলেজ, রেজিস্ট্রি অফিস, ব্যাঙ্ক, দোকানপাট বন্ধ ছিল। সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য জামিল ফিরদৌস দাবি করেন, “বনধ সফল। তবে সিডিপিও অফিস ভাঙচুরের বিষয়ে খোঁজ না নিয়ে কিছু বলা যাবে না। রোগীর গাড়ি আটকানো ঠিক হয়নি।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.