রাস্তায় নেমে বনধ ব্যর্থ করতে গিয়ে মহিলা এসইউসি সমর্থকদের সঙ্গে গোলমালের অভিযোগ উঠল একদল ‘যুব’ তৃণমূল সমর্থকদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার কোচবিহারের সুনীতি রোড এলাকায় ওই ঘটনাটি ঘটেছে। আজ, শুক্রবার জেলা জুড়ে ঘটনার জেরে প্রতিবাদ দিবস পালনের ডাক দিয়েছে এসইউসি। কোচবিহারের পুলিশ সুপার প্রণব দাস বলেন, “এ ব্যাপারে অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে।” এসইউসি’র অভিযোগ, বৃহস্পতিবার বনধের সমর্থনে সুনীতি রোডে শান্তিপূর্ণ পিকেটিং করছিলেন সংগঠনের সমর্থকরা। হরিশ পাল চৌপথীর কাছে কয়েক জন পুরুষ সংগঠন সদস্যের সঙ্গে মহিলা এসইউসি কর্মী নমিতা বর্মন, বৈশাখী নন্দীরা একসঙ্গে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের যাত্রীবাহী বাসও আটকে দেন। আচমকা ওই বনধ সমর্থকদের ওপরে মোটা বাঁশের লাঠিসোটা নিয়ে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের একদল কর্মী চড়াও হন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওই সমর্থকদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এসইউসির কোচবিহার জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য কাজল চক্রবর্তী বলেন, “তৃণমূল যুব কংগ্রেস নেতা রাজীব নারায়ণের নেতৃত্বে আমাদের শান্তিপূর্ণ বনধ সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এটা অমানবিক, বর্বোরচিত।” পাশাপাশি, এসইউসি নেতা কাজল চক্রবর্তীর বক্তব্য, বুধবার পরিকল্পিত ভাবে সুটকাবাড়িতে আমাদের প্রচার গাড়িতে তৃণমূল হামলা করে। জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য নৃপেন কার্জি আক্রান্ত হন। অভিযোগ হলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে মহিলা কর্মীদের ওপরে হামলা নিয়ে কতটা ন্যায়বিচার হবে তা নিয়ে সন্দিহান। সবার সঙ্গে কথা বলে পুলিশে জানাবার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। এসইউসি সূত্রেই জানা গিয়েছে, এ দিন ওই গোলমালে মাসেদ আলি নামে এক কর্মী জখম হন। অন্য দিকে, যুব তৃণমূল নেতৃত্ব এসইউসি’র তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন। তৃণমূল যুব কংগ্রেস প্রদেশ সম্পাদক রাজীব নারায়ণ বলেন, “মহিলারদের ওপর হামলার ঘটনাই হয়নি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে।” যুব তৃণমূল নেতার দাবি, “জোর করে রাস্তায় বাস আটকে কিছু এসইউসি কর্মী বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করেন। সাগরদিঘি পাড়ের মিছিল ফেরত দলের কিছু ছেলে তা দেখে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে যান। সেসময় মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করেন কিছু বনধ সমর্থক। তা নিয়ে বাদানুবাদ হয়।” তৃণমূল কংগ্রসের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “ও রকম ঘটনায় দলের ছেলেরা জড়িত নন। বনধ সমর্থকরা বাস ভাঙচুর করায় যাত্রীরা প্রতিবাদ করেন। আমাদের ছেলেরা গোলমাল থামাতে যায়। অযথা ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হয়েছে।” |