বনধ-এর পক্ষে-বিপক্ষে মিছিল ও পাল্টা প্রচারকে ঘিরে সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল রায়গঞ্জের নানা এলাকা। বেলা গড়াতেই তার জেরে হল বাস ভাঙচুর। বনধ সমর্থনকারীদের ঢিলে রায়গঞ্জের সঙ্গীতসদন মোড়ে কালিয়াগঞ্জ-শিলিগুড়িগামী একটি সরকারি বাসের কাঁচে ভাঙচুর হয়ে বলে অভিযোগ। ইটের টুকরোর আঘাতে কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা ওই বাসের চালক অপূর্বনাথ চক্রবর্তীর কপাল ফেটে যায়। তাঁকে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পাশাপাশি বাসের অপর এক যাত্রীরও মাথা ফেটে যায়। |
কিন্তু ওই ঘটনার পর তিনি চলে যাওয়ায় তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট ও কর্তব্যরত অবস্থায় সরকারি কর্মীর ওপর হামলার অভিযোগে এরপর রায়গঞ্জের ঘড়িমোড় এলাকা থেকে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফের দুই নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায় ধৃতদের নাম তীর্থ দাস ও নয়ন রায়। তাঁদের বাড়ি স্থানীয় রমেন্দ্রপল্লি ও নেতাজিপল্লি এলাকায়। পেশায় হাইস্কুল শিক্ষক তীর্থবাবু ডিওয়াইএফের রায়গঞ্জ জোনাল কমিটির সহ সম্পাদক। পাশাপাশি তিনি সিপিএমের রায়গঞ্জ লোকাল কমিটিরও সদস্য। নয়নবাবু ডিওয়াইএফ কর্মী বলে পরিচিত। ধৃতদের এদিন দুপুরে রায়গঞ্জের মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে তোলা হলে বিচারক অঞ্জনকুমার সেনগুপ্ত তাঁদের জামিনের আবেদন নাকচ করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। সিপিএমের রায়গঞ্জ লোকাল কমিটির সম্পাদক নীলকমল সাহার দাবি, “সিপিএম ও ডিওয়াইএফের সমর্থকরা শান্তিপূর্ণভাবে শহরে মিছিল করছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের নির্দেশেই পূর্ব পরিকল্পনা করে পুলিশ তীর্থবাবু ও নয়নবাবুকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে।” তৃণমূল নেতা তথা আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি অরিন্দম সরকারের পাল্টা দাবি, “দলের নেতা কর্মীরা ফেঁসে যাওয়ায় এখন সিপিএম নেতারা রাজনৈতিক স্বার্থেই আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে রাজনীতি শুরু করেছে।” |
রায়গঞ্জ থেকে জেলার বিভিন্ন রুটে কোনও বেসরকারি বাস, ট্রেকার ও অটো চলেনি। বনধ সমর্থনকারীদের বাধায় হাতে গোনা কয়েকটি সরকারি বাস চলেছে। বেশির ভাগ বাজার, ব্যাঙ্ক, দোকান বনধ ছিল। স্কুল ও কলেজ খোলা থাকলেও পড়ুয়ারা আসেনি। এ দিন পুরসভায় কাজকর্মও স্বাভাবিক ছিল।
|