|
|
|
|
|
বড় মুশকিল, ছোট আসান |
সুস্থ থাকতে, স্ট্রেস দৈত্যকে ঘায়েল করা জরুরি। অস্ত্র হল কতকগুলি অভ্যাস।
কাজের ফাঁকে ব্যায়াম, খাবারে সংযম, এমনি দু’চারটে টিপস। করে দেখুন, ভাল থাকবেন। |
স্ট্রেস ছাড়া লাইফ নেই। অ্যালার্মের ডাকে ঘুম ভাঙার মুহূর্ত থেকে রাত্রে দু’চোখের পাতা এক করার প্রাণপণ কসরত অবধি হাজার চিন্তায় আর ঝক্কিতে কপালের রেখাগুলো কী করে পার্মানেন্ট হয়ে যায়, আমরা হাড়ে হাড়ে জানি। স্ট্রেস কাটানোর উপায়? আপাতত কতকগুলো খুব ছোটখাটো অভ্যেস করে ফেলুন। |
দু’বেলা টানটান |
|
একটা খাড়া চেয়ারে সোজা হয়ে বসুন, পায়ের পাতা দুটো যাতে মাটিতে বেশ ভাল রকম ভাবে রাখা থাকে। এ বার চোখ বুজে নিজের নিশ্বাসপ্রশ্বাসের দিকে মনঃসংযোগ করুন। চেষ্টা করুন মন থেকে অন্য চিন্তা সরিয়ে রাখতে। কঠিন কাজ, খুব কঠিন। কিন্তু রোজ মন দিয়ে চেষ্টা করলে দেখবেন আস্তে আস্তে অভ্যেস তৈরি হচ্ছে, মনটাকে মুক্ত রাখতে পারছেন। এই অনুশীলনটা রোজ দুবেলা অন্তত পাঁচ মিনিট করে চালিয়ে যান, কিছু দিনের মধ্যেই উপকার পাবেন। |
সময় চুরি |
হ-য-ব-র-ল’র কাক্কেশ্বরই লাখ কথার এক কথা বলেছিল, সময় এমনি এমনি পাওয়া যায় না, চুরিচামারি করে জমাতে হয়। আর, ভাগ্যিস সময়-চুরি এখনও পেনাল কোডে স্থান পায়নি, তাই নির্ভয়ে হাতসাফাই করুন। কী করে? খুব সোজা। টিভি’তে আপনার প্রিয় সিরিয়াল দেখছেন, কিংবা ক্রিকেট ম্যাচ। থেকে থেকেই সেই উঃ কী বিরক্তিকর, আর পারা যায় না কমার্শিয়াল ব্রেক! খামখা বিরক্ত হয়ে
ভুরু-টুরু কুঁচকে মন আর শরীরের ক্ষতি করবেন না। বরং ওই ব্রেকটাকে ওয়েলকাম করে টুকটাক কিছু কাজ সেরে নিন। যেমন ধরুন ওয়াশিং মেশিনটা চালিয়ে এলেন, কিংবা রাতের খাবারগুলো মাইক্রো করে নিলেন, অথবা খাওয়ার পাট চুকে গিয়ে থাকলে টেবিল থেকে সব কিছু ফ্রিজে তুলে দিলেন। অনেকটা কাজ এগিয়ে থাকল তো! তাই বলে ও দিকটাও খেয়াল রাখবেন যেন, আপনি টিভি’র সামনে বসে থাকলে বিজ্ঞাপনগুলো যতক্ষণ চলতে থাকে, উঠে গেলে তার অনেক কম সময়ে শেষ হয়ে যায়, জানেন নিশ্চয়ই! আমাদের আইনস্টাইনের সেই বিখ্যাত রিলেটিভিটির তত্ত্ব!
|
ডিনারটা তাড়াতাড়ি |
ইউরোপ তো বটেই, গোটা পূর্ব এশিয়ার মানুষ সন্ধের একটু পরেই সেরে নৈশভোজ নেন। রাত্রি দশটা পঞ্চাশে ঘড়ির দিকে আড়চোখে তাকিয়ে ‘ও! এগারোটা বাজেনি এখনও!’ বলে আর এক কাপ চা-এর ধান্দা স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটে ভাল নয়। |
|
দু’বেলা খাওয়ার আগে |
বেশি খাব না, বেশি খাব না, যাঃ, বেশি খাওয়া
হয়ে গেল। বিয়েবাড়ির নেমন্তন্ন বা বন্ধুদের পার্টিতে কত বার এমনটা হয়েছে ভেবে দেখুন তো! বুফে টেবল-এর সামনে দাঁড়ালে সব সংযমের বাঁধ ভেঙে যায়, সব প্রতিজ্ঞার আগুন নিভে যায়, তখন মনে হয় খেয়ে নাও, দু’দিন বই তো নয়! তা হলে উপায়? উপায় আছে। সোজা উপায়। যে কোনও নেমন্তন্ন বা পার্টিতে খাওয়ার আগে কিছু খেয়ে নিন। একেবারে ভরা-পেটে খেতে বলছি না, সেটা নিমন্ত্রণ যাঁরা করেছেন, তাঁদের প্রতি অন্যায়, নিজের প্রতিও। কিন্তু খিদের তেজটা কম থাকলে লোভের তাড়নাও কম হবে। আপনা থেকেই মাটন এক পিস কম নেবেন, গুলাব জামুন দু’পিস।
|
|
|
|
|
|