‘একলা চলা’র ইঙ্গিত শুভেন্দুর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে ‘একলা চলা’র ইঙ্গিত দিলেন রাজ্য যুব তৃণমূলের সভাপতি সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। সিপিএমের পাশাপাশি, কংগ্রেস ও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করারও ডাক দিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঝাড়গ্রামের সাপধরা অঞ্চলের পুকুরিয়ায় স্থানীয় স্কুল মাঠে স্থানীয় তৃণমূল নেতা লালমোহন মাহাতোর প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণ সভায় শুভেন্দু বলেন, “তৃণমূল একাই একশো। সিপিএমের দখলে থাকা পঞ্চায়েত গুলো দখল করে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে জঙ্গলমহলকে মমতাময় করে তুলতে হবে। আপনারা জোট বাঁধুন।” ২০১০ সালের পুরসভা ও পুরনিগম গুলির নির্বাচনে একা লড়ে তাঁরা যে উল্লেখযোগ্য ফল করেছিলেন সেই কথাও স্মরণ করিয়ে দেন শুভেন্দু। বর্তমানের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দলের সমস্ত স্তরের নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের জোট বাঁধার ডাক দিয়েছেন রাজ্য যুব তৃণমূলের সভাপতি। |
|
— নিজস্ব চিত্র। |
রাজনৈতিক মহলের ধারণা, তৃণমূলের বহুধা বিভক্ত গোষ্ঠী গুলিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের স্বার্থে এদিন একজোট হওয়ার বার্তা দিয়েছেন শুভেন্দু। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এদিন ঝাড়গ্রাম ব্লক যুব তৃণমূলের উদ্যোগে আয়োজিত ওই সভায় শুভেন্দু বিরোধী হিসেবে পরিচিত তৃণমূলের জেলা স্তরের একাধিক নেতা ও বিধায়ক মঞ্চে ছিলেন। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরেই এদিন প্রধানমন্ত্রী ও কংগ্রেসের কড়া সমালোচনা করেছেন শুভেন্দু। কংগ্রেস ও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন। তাঁরা ক্যাডার ভিত্তিক দলের সদস্য নন বলেই কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছেন বলে শুভেন্দুর দাবি। ‘শান্তি ও উন্নয়নের’ ক্ষেত্রে নিজেদের জঙ্গলমহলের অগ্রপথিক দাবি করে শুভেন্দু জানান, গত বছর তাঁরা রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর মাওবাদীরা তৃণমূলের সাপধরা অঞ্চল সভাপতি লালমোহন মাহাতো-সহ পশ্চিম মেদিনীপুর ও পুরুলিয়ার ৬ জনকে খুন করেছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক দক্ষতায় দ্রুত জঙ্গলমহলের পট পরিবর্তন হয়েছে। যে কারণে একদা যৌথ বাহিনীর বিরুদ্ধে নিগ্রহের অভিযোগ উঠলেও এখন পরিবর্তনের রাজ্যে যৌথ বাহিনীর ‘মানবিক মুখ’ দেখতে পাচ্ছেন এলাকাবাসী। |
|