প্রেমদাসা স্টেডিয়ামের পিচ এবং ফিশ কাবাব: দু’টোতেই আপাতত চুল খাড়া হওয়ার জোগাড় ভারতীয় দলের!
উইকেটে বল সুইং করছে না। যথেষ্ট টার্ন করছে না। বরং বাউন্স করছে। এ বারে শ্রীলঙ্কার পিচের এমন চরিত্র হতে যে পারে, ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট নাকি স্ট্র্যাটেজি করার সময় ভাবতেই পারেনি। কোচ ডানকান ফ্লেচার থেকে পেসার ইরফান পাঠানসবার হাবভাব দেখে মনে হল আফগানিস্তান ম্যাচ জিততে না পারুক, বোমাবর্ষণে কাবুল যেমন মাঝেমধ্যে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে, অন্তত সেই শিহরনটা এনে দিতে পেরেছে।
|
ধকধকানি আরও বেশি বোধহয় এ জন্য যে ধোনিদের পরের চারটে ম্যাচ যথাক্রমে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গত বারের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। শেষ তিন প্রতিদ্বন্দ্বী সুপার এইটের সম্ভাব্য। যার একটাতে হেরে গেলেই সেমিফাইনাল যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
এরই মধ্যে খাওয়াদাওয়া নিয়ে অভূতপূর্ব সমস্যা উপস্থিত। আইসিসি টুর্নামেন্টে মাঠের খাওয়াদাওয়ার ভার থাকে আইসিসি-র ওপরই। আইসিসি কলম্বোর যে পাঁচতারা হোটেলকে খাওয়ানোর চুক্তি এবং দায়িত্ব দিয়েছিল তার খাবার খেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের কেউ কেউ তীব্র পেটের রোগে আক্রান্ত। উপমহাদেশের বাইরে থেকে আসা অতিথিদের জন্য এ সব সমস্যা খুব কমন। কিন্তু এই প্রথম উপমহাদেশের মধ্যে সফরে এসে ভারতও তাতে আক্রান্ত। মাঠে যে খাবার আইসিসি মনোনীত হোটেল পাঠিয়েছিল সেটা অনেকেই দাঁতে কাটতে পারেননি। বিশেষ করে যাঁরা রুটি খান। |
অশোক দিন্দা বললেন, “আমার কোনও অসুবিধে হয়নি। আমি ভাত দিয়ে মেরে দিয়েছি।” কিন্তু অধিকাংশই রুটি খান। সেই রুটি এত শক্ত ছিল যে রবিচন্দ্রন অশ্বিন বলেছেন, “ওটা রুটি নয় লোহা। কাউকে ছুড়ে মারলে তার নির্ঘাত গলা কেটে যাবে।” বিরাট কোহলি ফিশ কাবাব খেতে গিয়ে দেখেন প্রচণ্ড শক্ত। বলেন, “এ তো কাবাব নয় বাবাইমারত।” তার পর ছুড়ে ফেলে দেন। ডাল যা পাঠানো হয়েছিল তাকে কারও কারও মনে হয়েছে ক্যারামেল কাস্টার্ডের মতো খেতে।
প্লেয়ারদের তীব্র অসন্তোষে ভারত এখন যে হোটেলে আছে সেই তাজ সমুদ্র-র ভারতীয় শেফ-কে দিয়ে খাবার প্যাক করিয়ে মাঠে নিয়ে যাবে। আগামী কাল অনুশীলনেও তাই করবে।
এর জন্য আইসিসি-র বিশেষ অনুমতি নেওয়া হয়েছে। কারণ, নিয়ম অনুযায়ী একমাত্র আইসিসি অনুমোদিত হোটেলই মাঠে খাবার পাঠাতে চুক্তিবদ্ধ। প্রেমদাসার পিচ অবশ্য খাবার নয়ওটা যা পাওয়া যাবে মানিয়ে খেলতে হবে। |