নিজস্ব সংবাদদাতা • তারকেশ্বর |
বনধ সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মহিলাদের শ্লীলতাহানি করা হয় বলেও দাবি সিপিএম নেতৃত্বের। বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে তারকেশ্বরের চালপট্টির কাছে। হারাধন দুলে ও শিশির দাস নামে জখম দুই সিপিএম কর্মীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে।
বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত অবশ্য থানায় নালিশ দায়ের হয়নি। সিপিএমের তারকেশ্বর জোনাল কমিটির সম্পাদক স্নেহাশিস রায় বলেন, “অভিযোগ দায়ের হবে। প্রহৃত কর্মীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে গিয়ে একটু দেরি হচ্ছে।” স্নেহাশিসবাবুর অভিযোগ, “তৃণমূল আমাদের মিছিল করতে দেয়নি। উপরন্তু, কর্মীদের মারধর করেছে। মেয়েদের পোশাক ছিঁড়ে বিবস্ত্র করে দিয়েছে। সন্ধে ৭টা নাগাদ বাজার এলাকায় কয়েকশো মানুষের চোখের সামনেই ঘটেছে এই নারকীয় ঘটনা। তৃণমূল চলে যাওয়ার পরে স্থানীয় মানুষই জখম ও বিবস্ত্র মহিলাদের উদ্ধার করেন।” অন্য দিকে, তারকেশ্বরের তৃণমূল নেতা তথা পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন সামন্ত বলেন, “ওই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। |
হাসপাতালে জখম সিপিএম কর্মী। ছবি তুলেছেন মোহন দাস। |
সিপিএম উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমাদের দলীয় কর্মীদের ফাঁসাতে চাইছে। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি, সিপিএমেরই মদ্যপ দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারপিট হয়েছে।” পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। পুলিশের তরফে থানায় লিখিত অভিযোগ করতে বলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে তারা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বিকেলে বন্ধের সমর্থনে সিপিএমের মিছিলের কর্মসূচি ছিল। অন্য দিকে, দুপুর থেকে বন্ধের বিপক্ষে মিছিলের কর্মসূচি নিয়েছিল তৃণমূল। বিভিন্ন গ্রাম থেকে সিপিএম কর্মীরা তারকেশ্বরে দলের জোনাল কার্যালয়ে জমায়েত হচ্ছিলেন। তৃণমূল দীর্ঘ সময় ধরে বিশাল মিছিল করায় সিপিএম মিছিল বেরই করতে পারেনি। অভিযোগ, তৃণমূলের মিছিল সিপিএমের কার্যালয়ের সামনেই ঘোরাফেরা করেছে বহু ক্ষণ।
সন্ধে ৭টা নাগাদ সিপিএমের কিছু লোকজন বাড়ির পথ ধরেন। তাঁরা ভুটভুটিতে করে এসেছিলেন। অভিযোগ, চালপট্টির কাছে সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের সাতটি ভুটভুটি আটকায় তৃণমূল। কেন তাঁরা মিছিল করতে এসেছিলেন, এই প্রশ্ন তুলে শুরু হয় মারধর। মহিলারা প্রতিবাদ করলে তাঁরাও লাঞ্ছিত হন বলে অভিযোগ।
আরামবাগ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তুল্যান গ্রামের বাসিন্দা হারাধন দুলে, জোতশম্ভু গ্রামের শিশির দাসের অভিযোগ, তৃণমূলের জনা তিরিশ লোক তাঁদের ঘিরে ধরে মারধর করেছে। এরপরে সিপিএমের মিটিং-মিছিলে যোগ দিতে এলে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছে। |