পিপিপি মডেলে এ বার ওষুধ দোকান মেডিক্যালে
রকারি-বেসরকারি উদ্যোগে (পিপিপি) ইতিমধ্যেই এমআরআই পরিষেবা চালু হয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেই একই পথে এ বার চালু হচ্ছে ওষুধের দোকান। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে অক্টোবরের গোড়াতেই এই দোকান চালু হবে। মেডিক্যাল সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যভবনে এ নিয়ে এক বৈঠক হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুর মেডিক্যালের সুপার যুগল কর। সেখানেই দ্রুত ওই ওষুধের দোকান খোলার উপর জোর দেওয়া হয়। এ নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে কলকাতার এক সংস্থার চুক্তি হয়েছে। মেডিক্যালের সুপার বলেন, “পিপিপি মডেলের এই দোকান থেকে অনেক কম দামে ওষুধ কিনতে পারবেন রোগীর পরিজনেরা।” কিছু ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, যে সংস্থার সঙ্গে স্বাস্থ্য দফতরের চুক্তি হয়েছে, সেই সংস্থা ওষুধ দোকান খোলার জন্য ১ হাজার বর্গফুট জায়গা চেয়েছে। যে জায়গার উপর রুম তৈরি করা রয়েছে। কিন্তু, হাসপাতাল ক্যাম্পাসে একসঙ্গে এই পরিমান জায়গা নেই। তবে ওষুধ দোকানের জন্য প্রাথমিক ভাবে একটি জায়গা চিহ্ণিত করে রেখেছেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালে নতুন ভবন গড়ে উঠেছে। ওই ভবনের একতলায় একটি ৪০০ বর্গফুটের রুম ও একটি ৩০০ বর্গফুটের রুম রয়েছে। হাসপাতালের এক আধিকারিক বলেন, “৪০০ বর্গফুটের ওই রুমটিতে ওষুধ দোকান করা যেতে পারে। তেমন হলে ওষুধ মজুত রাখার জন্য অন্য জায়গা চিহ্ণিত করা হবে।”
চলতি সপ্তাহের মধ্যে এ নিয়ে ওই সংস্থার সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কথা হতে পারে। ওই আধিকারিকের বক্তব্য, “সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে অক্টোবরের গোড়া থেকেই ওই ওষুধ দোকান খুলে যাবে।” স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও এখন পিপিপি মডেলে কাজ করার উপর জোর দিয়েছে রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য দফতরের এক সূত্রের বক্তব্য, রাজ্যের যে আর্থিক পরিস্থিতি তাতে সরকারের পক্ষে সবটা পেরে ওঠা সম্ভব হয় না। তাই সরকারি- বেসরকারি উদ্যোগের উপরও জোর দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় পিপিপি মডেলে নানা প্রকল্পের কাজ হচ্ছে। গত মাসে এ ভাবেই মেদিনীপুর মেডিক্যালে এমআরআই পরিষেবা চালু হয়েছে। আগামী দিনে ওই পিপিপি মডেলেই ডিজিটাল এক্সরে ও ম্যামোগ্রাফি পরিবেষা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে এই পরিষেবা চালু করার চেষ্টা চলছে বলে মেদিনীপুর মেডিক্যাল সূত্রে খবর।
এদিকে, ওষুধের দাম বাড়ার ফলে অনেকেই সমস্যায় পড়েন। খোদ হাসপাতালেও ওষুধের স্টক মাঝেমধ্যে শেষ হয়। তখন চিকিৎসকের দেওয়া প্রেসক্রিপশন নিয়ে হাসপাতাল থেকে ওষুধ নিতে এসেও অনেককে খালি হাতে ঘুরতে হয়। সামান্য অ্যান্টিবায়োটিকও ক্যাপসুলও হাসপাতাল থেকে মেলে না বলে অভিযোগ। তখন বাইরের দোকান থেকে তা কিনতে হয়। দোকানে ওষুধের দামও চড়া থাকে। ফলে সমস্যায় পড়েন অধিকাংশ রোগীর পরিবারের লোকজন। হাসপাতাল ক্যাম্পাসে প্রস্তাবিত ওই ওষুধ দোকান খোলা হলে এ সমস্যার সমাধান হবে বলেই মনে করছেন কর্তৃপক্ষ।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.