|
|
|
|
ফাঁসে খুন মহিলাকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
গামছার ফাঁস দিয়ে বৃদ্ধা হোটেল মালিককে খুনের অভিযোগ উঠেছে তাঁরই এক কর্মীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সকাল ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে শিলিগুড়ি থানার সেবক রোডে। মৃতার নাম রাধিকা তামাং (৬১)। তাঁর বাড়ি চার্চ রোডে। শ্বাসরোধ করে খুন করে হোটেলের রান্নাঘরে নিয়ে গিয়ে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্তের নাম সুভাষ বিশ্বকর্মা। বাড়ি দার্জিলিংয়ের সিঙ্গিমারির নবীন গ্রামে। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক বলে পুলিশ জানিয়েছে। শিলিগুড়ি ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ওজি পাল বলেন, “তদন্ত শুরু করা হয়েছে। অভিযুক্ত যুবকের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখছি।” |
|
হোটেলের সামনে ভিড়। নিজস্ব চিত্র। |
শিলিগুড়ির সহকারি পুলিশ কমিশনার প্রদীপ পাল বলেন, “খুনের কারণ এখনও পরিষ্কার নয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। অভিযুক্ত যুবকের খোঁজে দার্জিলিং পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।” পুলিশ সূত্রের খবর, সেবক রোডের ওই হোটেলটি পঞ্চাশ বছরের পুরনো। সেখানে একটি রেস্টুরেন্ট ছাড়াও ছয়টি থাকার ঘর রয়েছে। নীচে রান্নাঘর, ম্যানেজারের বসার ঘর। সপ্তাহখানেক আগে দার্জিলিংয়ের ওই যুবক সুভাষকে রান্নার কাজে নিয়োগ করা হয়। সে হোটেলে থাকত। এ ছাড়াও হোটেলে আরেকজন কর্মী রয়েছেন। তিনি বাড়ি থেকে যাতায়াত করতেন। সকাল ৮টা নাগাদ হোটেলে যেতেন রাধিকা দেবী। এ দিনও ওই সময় তিনি হোটেলে যান। ঘন্টা দুয়েক পরে হোটেলে যান অপর কর্মী অরুণ সুব্বা। তিনি রান্না ঘরে ঢুকে কাপড় দিয়ে ঢাকা রাধিকা দেবীর দেহ দেখতে পান। অরুণের চিৎকারে আশেপাশের ব্যবসায়ীরা সেখানে জড়ো হন। তাঁরাই পুলিশকে খবর দেন। অরুণ বলেন, “রাতে সুভাষ হোটেলে ছিল। সকালে ঢুকে দেখি রাধিকা দেবীর দেহ রান্না ঘরে পড়ে রয়েছে। সুভাষ নেই। এর পরেই সবাইকে বিষয়টি জানাই।” রাধিকা দেবীর আত্মীয়া শীলা তামাং জানান, সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ রাধিকার ছোট মেয়ে দীপা হোটেলে যায়। তখনও রাধিকাদেবী বেঁচে ছিলেন। |
|
|
|
|
|