|
|
|
|
জোটসঙ্গীর অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
পার্কিংয়ের বরাত পেয়েও পুরসভার প্রাপ্য টাকা যাঁরা মেটাননি তাঁদের সবার বিরুদ্ধে পুলিশে অবিলম্বে অভিযোগ দায়ের করা উচিত বলে জানিয়েছে পুরসভার জোট সঙ্গী তৃণমূল। ২০১১-২০১২ সালে পার্কিংয়ের বরাত পেয়ে এক বছর ধরে ফি সংগ্রহ করলেও ৬টি জায়গায় ফি আদায়ের দায়িত্ব পাওয়া ঠিকাদাররা শিলিগুড়ি পুরসভার প্রাপ্য প্রায় ২২ লক্ষ টাকা মেটাননি বলে অভিযোগ। গত ১০ সেপ্টেম্বর তাদের এক জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হলেও বাকিদের বিরুদ্ধে এখনও কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেননি পুর কর্তৃপক্ষ। ওই ঠিকাদারদের একাংশ কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে বিরোধী বামেরা অভিযোগ তোলে। পুরসভার ভাবমূর্তি যাতে ক্ষুন্ন না হয় সে জন্য অভিযুক্তদের সকলের বিরুদ্ধেই অবিলম্বে একই ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাল তৃণমূল নেতৃত্ব। শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র পারিষদ তথা দার্জিলিং জেলার তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ পাল বলেন, “একই অভিযোগে যারা অভিযুক্ত তাদের সকলের বিরুদ্ধেই পুলিশে অভিযোগ জানানো উচিত। না হলে পুরসভার ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। দলের সকলেই এ ব্যাপারে একমত।” কংগ্রেসেরও একাংশ মনে করেন, বাকি যাদের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও পুলিশে অভিযোগ জানানো উচিত। কংগ্রেসের জেলা সভাপতি শঙ্কর মালাকার বলেন, “বিষয়টি দলের তরফেও দেখা হচ্ছে। শীঘ্রই দলের পক্ষেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হবে।”
পুরসভার প্রাপ্য টানা না দেওয়ায় পুলিশে অভিযোগ জানানোর পর গত সোমবার অভিযুক্ত রাকেশ পাল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অভিযোগ, রাকেশবাবুর কাছে পুর কর্তৃপক্ষের প্রায় ১২ লক্ষ টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে। বারবার চিঠি দিয়ে জানালেও তিনি তা মেটাতে চাননি। উল্টে এ বছর বরাত না পেলেও অবৈধ ভাবে স্লিপ ছাপিয়ে পার্কিং ফি সংগ্রহ করছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। পার্কিং বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত। তাঁর হয়ে ওই কাজের তদারকি করেন ট্রেড লাইসেন্স বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবশঙ্কর সাহা। তিনি বলেন, “যাঁদের কাছে বকেয়া পড়ে রয়েছে তাঁদের মধ্যে ৩ জন টাকা মেটাতে চান বলে জানিয়েছে। তাঁদের এক জন চিঠি দিয়ে জানিয়েছে তাঁর বকেয়া টাকা যে পরিমাণ বলা হচ্ছে তা আরও কম হবে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই দেখা হচ্ছে। টাকা না মেটালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” অন্য দিকে শিলিগুড়ি জংশন স্টেশন সংলগ্ন হিলকার্ট রোডে পার্কিংয়ের বরাত পাওয়া ঠিকাদার বাস দাঁড়ানোর জন্য অবৈধ ভাবে এখনও অন্তত ৪০ টাকা করে ফি সংগ্রহ করছেন বলে অভিযোগ। এমনকী অভিযোগ করা হয়েছে, ওই ঠিকাদার হকারদের কাছ থেকেও টাকা নিচ্ছেন। তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার বাম মনোভাবাপন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সংগঠনগুলির কর্মকর্তারা। অবিলম্বে তা বন্ধ করা না হলে তাঁরা বড় ধরনের আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন। ওই ঠিকাদার এলাকার কংগ্রেস কাউন্সিলের ঘনিষ্ঠ বলেই তাকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার হচ্ছে বলে সরব হয়েছেন তাঁরা। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার আগেও দাবি করেছেন, পুরসভায় আলোচনার পরই তিনি বাস দাঁড়ানোর জন্য ফি নিচ্ছেন। |
|
|
|
|
|