এল কাছে
চাঁদা বাড়েনি দাম বেড়েছে
ডুয়ার্সে শামুকতলার পুজা কমিটিগুলি এ বছর দুর্গাপূজা বয়কটের সিদ্ধান্তে অটল থাকায় এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি শামুকতলার ৯টি পুজা কমিটি পুজা বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত সোমবার পুজো বয়কটের সিদ্ধান্ত মাইকে প্রচার করে জানিয়ে দেওয়া হয়। তাঁরা জানান, মূল্যবৃদ্ধির জন্য মূর্তি থেকে শুরু করে উপকরণ সমস্ত কিছুর দাম কয়েকগুণ বেড়েছে। অথচ চাঁদার পরিমাণ পাঁচ বছর আগে যা বরাদ্দ ছিল। তাই রয়েছে। পাশাপাশি, পুজার অনুমতির জন্য প্রশাসনিক জটিলতা, চাঁদা আদায় করতে গিয়ে জোরজুলুমের অভিযোগ জমা পড়ছে থানায়। তাই এবার পুজো বয়কট। নয়টি পুজো কমিটি মিলিয়ে পুজো বয়কট কমিটিও গড়া হয়েছে। কমিটির সিদ্ধান্তে মাথায় হাত পড়েছে কাপড়, জুতো থেকে শুরু করে সমস্ত ব্যবসায়ী, মৃৎশিল্পীদের। পুজো বয়কটের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। এলাকার এক গৃহবধূ মিতালি দে জানান, শামুকতলায় পুজো হবে না ভাবতেই পারছি না।
প্রস্তুতি। বালুরঘাটে ছবি তুলেছেন অমিত মোহান্ত।
অঞ্জলি দিতে পারব না। কমিটির সিদ্ধান্ত মানা যায় না। স্থানীয় বাসিন্দা অমর শঙ্কর সান্যাল, নারায়ন পালেরা জানান, পুজো বয়কটের সিদ্ধান্ত মানা যায় না। সমস্যা থাকলে এলাকাবাসীকে নিয়ে তাঁরা তা সমাধানের চেষ্টা করতে পারতেন। পুজো করতেই হবে। স্কুল ছাত্রী শিউলি দাম, বান্টি রায়ের কথায়, “পুজোর হবে না ভেবেই মন খারাপ লাগছে। ছোট করে হলেও তো পুজো হতে পারত।” পুজো হোক তা চান ব্যবসায়ীরাও। কামাখ্যাগুড়ি ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষে গৌর সাহা বলেন, “এবার চাঁদার পরিমাণ কিছুটা বাড়িয়ে দেওয়া হবে। আমরা চাই পুজা হোক। পুজোর উদ্যোক্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।” সবচেয়ে বেশি সমস্যায় মৃৎশিল্পীরা। অনেকেই ঋণ নিয়ে মূর্তি তৈরি করে ফেলেছেন। এখন পুজো না হলে পথে বসতে হবে বলে তাঁরা জানাচ্ছেন। শামুকতলায় দুর্গাবাড়ির পুজো সব থেকে বড় এবং পুরানো। ১৯৪৭ সালে এই পুজো শুরু হয়। এছাড়া চালহাটি, ধানহাটি কালিবাড়ি, বাসস্ট্যান্ড ও হিন্দি স্কুল, শক্তি নগর কালীবাড়ি, মহাকালগুড়ি ইয়ং ট্রাইবেল ক্লাব ও শক্তি সঙ্ঘের পুজো রয়েছে। আলিপুরদুয়ার (২) বিডিও সৌমেন মাইতি বলেন, “প্রশাসন সবসময় পুজো কমিটিগুলিকে সহযোগিতা করে। সমস্যা হলে অবশ্যই সাহায্য করা হবে। বয়কটের সিদ্ধান্ত থেকে অবশ্যই সরে আসা প্রয়োজন।” পুজা বয়কট কমিটির পক্ষে সুভাষ ঘোষ, রাকেশ অগ্রবাল, ঝন্টু রবিদাস জানান, পুজো করতে গিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত সমস্যায় পড়ছি।

প্রস্তুতি। ময়নাগুড়িতে ছবি
তুলেছেন দীপঙ্কর ঘটক।

প্রস্তুতি। কোচবিহারে ছবি
তুলেছেন হিমাংশুরঞ্জন দেব।
জিনিসের দাম বেড়েছে। চাঁদা বাড়েনি। উল্টে বাজে ব্যবহার করা হয়। গত বছর চার কমিটির নামে পুলিশের কাছে জুলুমবাজির অভিযোগ করে আলিপুরদুয়ারের কয়েকজন ব্যবসায়ী। মাছ ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদা চাইতে গেলে মারধর করা হয়। পুজোয় যে ব্যবসায়ীরা হাজার হাজার টাকা উপার্জন করেন। আর চাঁদা ১০-২০ টাকা দিতে চান। আমাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে পুজো বয়কটের মত কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। শামুকতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রাহাবিয়াম কিসকু বলেন, “সর্বজনীন পুজো করতে গিয়ে নানা সমস্যা চিরদিনের। প্রয়োজনে বাজেট কমিয়ে পুজোর আয়োজন করতে হবে। বয়কটের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা দরকার। পুজা কমিটি, ব্যবসায়ী এবং সাধারন মানুষকে একযোগে সমস্যার সমাধান করতে হবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.