আবাসন পর্ষদের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তৈরি ৯টি সংস্থার আর্থিক ও অন্যান্য লেনদেন নিয়ে রাজ্য অর্থ দফতরের তদন্তের পরে এ বার রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থাও অনুরূপ রিপোর্ট জমা দিল। মঙ্গলবার রিপোর্টটি পৌঁছেছে মুখ্যসচিবের দফতরে।
মে থেকে অগস্ট মাস পর্যন্ত অর্থ দফতর বিশেষ অডিট করে। সেই রিপোর্টই মুখ্যসচিবের হাতে জমা পড়ার পরে তার নির্যাস তুলে দেওয়া হয় সিআইডি-র হাতে। গোয়েন্দা দফতরের এক সূত্র জানান, মঙ্গলবার ভবানী ভবন থেকে মহাকরণে একটি প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট পাঠানো হয়।
সংস্থাগুলির খাতাপত্র পরীক্ষা করে গোয়েন্দারা মোটামুটি পাঁচটি বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন বলেও সূত্রের খবর। যেমন এই সংস্থাগুলি সরকারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা হলেও সেগুলির মূল পরিচালন ক্ষমতা বেসরকারি হাতেই রাখা হয়েছে। এ ছাড়া, এদের অধিকাংশের বিরুদ্ধেই সরকারি জমি যৌথ সংস্থাকে হস্তান্তরে অনিয়ম, দাম মেটানোর সময়ে জমির মালিককে জোরজুলুম করা ও কম দাম দেওয়া, নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক ফ্ল্যাট তৈরি না করে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ লঙ্ঘন করা, সরকারের রাজস্ব ফাঁকি ইত্যাদি অভিযোগ রয়েছে।
১৯৯৩ সাল থেকে ২০০৮-এর অগস্ট অবধি পনেরো বছরে মোট ন’টি যৌথ উদ্যোগ সংস্থা এবং চারটি সহযোগী সংস্থা তৈরি হয়। পরে গত বিধানসভার নির্বাচনের আগে আরও ছ’টি সহযোগী সংস্থা তৈরি করে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার। প্রতিটি সংস্থাই ‘বেঙ্গল’ নাম দিয়ে পরিচিত। পুলিশি গোয়েন্দারা তদন্ত চালান নির্দিষ্ট কয়েকটি আবাসন তৈরির নথিপত্রেও।
এ বিষয়ে ‘বেঙ্গল পিয়ারলেস’-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর কুমারশঙ্কর বাগচী বলেন, “আমাদের মতো যৌথ উদ্যোগের সংস্থাগুলি নিয়ে মানুষের মনে যে সন্দেহ দেখা দিয়েছে, তার নিরসন করার জন্য তদন্ত হওয়াই উচিত।” ‘বেঙ্গল অম্বুজা’ সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর হর্ষবর্ধন নেওটিয়ার বক্তব্য, “আগে অর্থ দফতর থেকে আমাদের কাছে কয়েকটি বিষয় জানতে চাওয়া হয়েছিল। তা জানিয়েছি। পুলিশের তদন্তে যে ভাবে বলবে, সে ভাবেই সহায়তা করব। যে কাগজপত্র দিতে বলবে, দেব।” |