কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সরকারি ও
বেসরকারি হোমে অনিয়মের পাঁচটি ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব নিল রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। তাদের তদন্তের বিষয়ের মধ্যে আছে হোমে দীর্ঘদিন ধরে বেআইনি ভাবে আটকে রাখা, অমানবিক ব্যবহার, হোমে নাবালিকা আবাসিকদের উপরে অত্যাচার এবং মৃত্যু নিয়ে চলচ্চিত্র বা তথ্যচিত্র তৈরি করতে দেওয়ার মতো ঘটনা।
রাজ্য মানবাধিকার কমিশন এ ব্যাপারে রাজ্যের সরকারি হোমের কর্তৃপক্ষ, বেসরকারি সংস্থা এবং চলচ্চিত্র পরিচালকদের ২৪ সেপ্টেম্বর ব্যাক্তিগত ভাবে শুনানিতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জে এন পটেল এবং বিচারপতি কে এস অহলুওয়ালিয়ার স্পেশ্যাল বেঞ্চে পাঁচটি বিষয়ে জনস্বার্থের মামলা এবং ‘হেবিয়াস করপাস’ বা সশরীরে হাজিরার মামলা করা হয়েছিল। ওই মামলায় রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা মিলিয়ে ১০৮টি হোমে বেআইনি ভাবে প্রায় এক হাজার মহিলাকে আটকে রাখা এবং তাঁদের সঙ্গে অমানবিক ব্যবহারের অভিযোগ আনেন আবেদনকারী।
ওই জনস্বার্থের মামলায় আবেদনকারী রাজ্য সরকার পরিচালিত বর্ধমান হোমে ২০১১ সালে সুশীলা তামাংয়ের মৃত্যু, সম্প্রতি হুগলির একটি হোমে গুড়িয়ার মৃত্যু এবং ২০০৯ সালে একটি বেসরকারি সংস্থার হোমে শরতের মৃত্যুর ব্যাপারে তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন। বেআইনি ভাবে আটকে রাখা এবং মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষতিপূরণের জন্যও আবেদন জানান তিনি। হাইকোর্ট সংশ্লিষ্ট পাঁচটি ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য রাজ্য মানবাধিকার কমিশনকে নির্দেশ দেয়।
জনস্বার্থের পাঁচটি মামলায় সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ১০৮টি হোমে নাবালিকা ও সাবালিকাদের অনির্দিষ্ট কাল আটকে রাখা এবং লিলুয়া হোমে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ২৪১ জন মহিলা, শিশু ও সাবালিকাদের রেখে দেওয়ার অভিযোগ; ২০১১ সালে বর্ধমান হোমে সুশীলা তামাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু সত্ত্বেও কোনও মামলা দায়ের না-হওয়া; হুগলির হোমে গুড়িয়ার মৃত্যুর ঘটনায় সিআইডি-র বদলে সিবিআই তদন্ত চাওয়া হয়েছে। রয়েছে ২০০৯ সালে বেসরকারি হোমে আবাসিকদের উপরে ছবি তৈরি করতে দেওয়া এবং নাবালিকদের উপরে ছবি তৈরি করতে দেওয়ার অভিযোগের মামলাও। |