কয়লা কিনতে গিয়ে কোল ইন্ডিয়ার কাছে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের দেনা হয়ে গিয়েছে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা। সেই বকেয়া মেটাতে বাজার থেকে ফের ৫০০ কোটি টাকা ঋণ নিচ্ছে তারা। সংস্থা সূত্রের খবর, এই ঋণ নেওয়া হচ্ছে ‘পাওয়ার ফিনান্স কর্পোরেশন’ বা বিদ্যুৎ অর্থ নিগমের কাছ থেকে।
বক্রেশ্বর ছাড়া কোলাঘাট, সাগরদিঘি, সাঁওতালডিহি-সহ নিগমের বিভিন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রে এখন গড়ে দু’তিন দিনের মতো কয়লা মজুত রয়েছে। চলতি মাসের মধ্যে গড়ে পাঁচ দিন এবং পুজোর মধ্যে প্রতিটি উৎপাদন কেন্দ্রেই অন্তত সাত দিনের মতো কয়লা মজুত করে ফেলার পরিকল্পনা করেছেন নিগমকর্তারা।
প্রচুর টাকা বকেয়া থাকায় কোল ইন্ডিয়া গত মাসেই রাজ্যের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিতে কয়লা পাঠানো কমিয়ে দিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে।
কেন্দ্রীয় সংস্থা রুর্যাল ইলেকট্রিসিটি কর্পোরেশন’ বা গ্রামীণ বিদ্যুৎ নিগমের কাছ থেকে ৩০০ কোটি টাকা পেয়ে কিছুটা দেনা শোধ করেন নিগম-কর্তৃপক্ষ। তার পরে বিভিন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লার জোগান অল্প হলেও বেড়েছে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের এক কর্তা জানান, বর্ষায় এমনিতেই কোল ইন্ডিয়ার কয়লার জোগান কিছুটা কমে যায়। তার উপরে দেশ জুড়ে বিদ্যুৎ শিল্পের এখন যা অবস্থা, তাতে সরকারি বা বেসরকারি কোনও আর্থিক প্রতিষ্ঠানই চট করে ঋণ দেওয়ার ঝুঁকি নিতে চাইছে না। ফলে পুঁজির অভাব দেখা দিচ্ছে। অনেক চেষ্টা করে তবেই বাজার থেকে ঋণ মিলছে বলে ওই কর্তা জানান।
রাজ্যের বিদ্যুৎ দফতর সূত্রের খবর, রাজ্যের সব বিদ্যুৎকেন্দ্র মিলিয়ে এখন প্রায় দু’লক্ষ টন কয়লা মজুত আছে। প্রয়োজনের তুলনায় এটা অনেক কম।
আগামী মাসের মধ্যে তা বাড়িয়ে অন্তত সাড়ে তিন লক্ষ টনে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। নিগম-কর্তৃপক্ষ তাই কোল ইন্ডিয়ার আগের পাওনা টাকার বেশিটাই মিটিয়ে দিতে চাইছেন। |