একটি ছাত্র সংগঠন ও একটি রাজনৈতিক দলের সংঘর্ষের জেরে প্রায় অচল হয়ে গেল পঠনপাঠন। স্কুলের গেট জুড়ে গোলমাল চলায় অধিকাংশ ছাত্র স্কুলে ভিতরে ঢুকতে পারেনি। পরে পুলিশি মধ্যস্থতায় কিছু ছাত্র ঢুকলেও উপস্থিতির হার কম থাকায় স্কুল ছুটি দিয়ে দিতে বাধ্য হন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার সকালে এসএফআই ও তৃণমূল কর্মীদের সংঘর্ষের জেরে এমনই ঘটল আড়িয়াদহের কালাচাঁদ হাইস্কুলে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাপস সিংহরায় বলেন, “১৪০০ ছাত্রের মধ্যে প্রতিদিন অন্তত এক হাজার জন উপস্থিত থাকে। আজ সেই সংখ্যা একশো’রও কম। তাই পৌনে দু’টোয় স্কুল ছুটি দেওয়া হয়।”
পুলিশ জানায়, ঘটনার সূত্রপাত গত রবিবার সকালে। ওই দিন স্কুলে পরিচালন সমিতির নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। বাম প্রার্থীদের অভিযোগ ছিল, নির্বাচনে তৃণমূল সন্ত্রাস চালাচ্ছে। এমনকী শেষে ছয় প্রার্থীই তুলে নেয় বামফ্রন্ট। পরে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা ৬টি আসনেই জয়লাভ করেন।
মঙ্গলবার সকালে এসএফআই-এর কিছু সমর্থক ওই স্কুলের গেটের সামনে নির্বাচনে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছিলেন। তখন কিছু তৃণমূলকর্মীর সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষ বাধে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা বিমল সাহার অভিযোগ, এ দিন সকাল থেকে এসএফআই-এর সমর্থকেরা স্কুলের গেট আটকে ধর্মঘটের নামে ছাত্রদের ভিতরে ঢুকতে বাধা দেন। খবর পেয়ে স্থানীয় তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে কিছু কর্মী গিয়ে প্রতিবাদ করেন। বিমলবাবু বলেন, “ওরা আমাদের কর্মীদের মারধর করেছে। দু’জন হাসপাতালে ভর্তি।”
সিপিএম-এর তরফে মানস মুখোপাধ্যায় জানান, নির্বাচনের দিন তাঁদের উপরে অত্যাচারের অভিযোগে এ দিন স্কুলের গেটের সামনে শান্তিপূর্ণ ভাবে অবস্থান করছিল এসএফআই। তৃণমূল সমর্থকেরা আচমকা তাঁদের উপরে হামলা চালালে সাত জন আহত হন। তিনি আরও বলেন, “আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেও তৃণমূল আক্রমণ চালায়। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। কিন্তু পুলিশ আমাদের অভিযোগ নেয়নি।”
ব্যারাকপুরের ডিসি (সদর) কল্লোল গনাই বলেন, “অভিযোগ নেওয়া হয়নি এটা ঠিক নয়। পুলিশ পুরো ঘটনাটাই নজরে রেখেছে। আক্রান্তদের উদ্ধারও করেছে।” |