|
|
|
|
পুলিশি তৎপরতায় উৎসব নির্বিঘ্ন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
একদিকে দফায় দফায় ঝিরঝিরে বৃষ্টি, অন্যদিকে বাস ধর্মঘট। তবু এই দু’দিন কিছুই রুখতে পারল না শিল্পশহরের মানুষকে। সোম ও মঙ্গল দু’দিনই স্বতঃস্ফূর্ত আবেগে তাঁরা বেরোলেন রাস্তায়। তারই মধ্যে দুর্গাচকে ভিআইপি মোড়ের কাছে থমকে দাঁড়ালেন অনেকেই। মনে পড়ল গত বছরের কালো স্মৃতি। তবু সব ছাপিয়ে জনতা-পুলিশের সুশৃঙ্খল বোঝাপড়ায় জিতে গেল বিশ্বকর্মা-উৎসব।
প্রতিবার বিশ্বকর্মার ঢাকের আওয়াজেই মিশে থাকে শারদোৎসবের আগমনী। কিন্তু গত বার ট্যাঙ্কার দুর্ঘটনায় তাল কেটেছিল। ভিআইপি মোড়ের কাছে দুটি ট্যাঙ্কারের সংঘর্ষে একটি টাঙ্কার উল্টে পড়ে যাত্রীবোঝাই এক মোটরভ্যানের উপরে। জখম হন ছ’জন যাত্রী। অনেক মণ্ডপেই বন্ধ করে দেওয়া হয় আলো, মাইক। স্থানীয় জগত বেরা বলেন, “আগের বছরের কথা ভেবে প্রথমে ঠিক করেছিলাম দূরে যাব না। কিন্তু ভিড়ের সঙ্গেই সুষ্ঠু ভাবে এগিয়ে চললাম। আসলে সবাই সচেতন হলে সবই সম্ভব।” ঝুঁকি যে একেবারে ছিল না তা নয়। অনেকেই বাস না পেয়ে পিক আপ ভ্যানে ঝুলে ঘুরেছেন। নন্দকুমার থেকে হলদিয়া আসার পথে বাড়সুন্দরায় গাড়ি উল্টে ২৫ জন জখমও হন। তবে শহর ছিল নির্বিঘ্ন। পুলিশ-প্রশাসনও বাড়তি সতর্ক ছিল। দুর্গাচকের মঞ্জুশ্রী ও ভিআইপি-সহ প্রতিটি মোড়েই পর্যাপ্ত পুলিশ ছিল।
নবনিযুক্ত ২০০ গ্রিন পুলিশ-সহ মোট ৬০০ পুলিশকর্মী যান ও নিয়ন্ত্রণ ও অসামাজিক কাজ রুখতে পথে নেমেছিলেন। শহরের মধ্যে মোটরভ্যান চলতে দেওয়া হয়নি। পুলিশ সুপারও প্রায় সবক’টি মণ্ডপ ঘুরে দেখেছেন। পুলিশ সুপার সুকেশ জৈন বলেন, “উৎসবের দিনে দুর্ঘটনা রুখতে আমরা গোটা টিম কাজ করেছি। বুধবারও নজরদারি চলবে। জনতাকে ধন্যবাদ।” |
|
|
|
|
|