চার্চিল-বধে আক্রমণই হাতিয়ার মোহনবাগানের
চার্চিল ব্রাদার্সকে হারাতে চূড়ান্ত আক্রমণের রাস্তায় যেতে চান সন্তোষ কাশ্যপ। মঙ্গলবার বিকেলে শিলিগুড়ির রানিডাঙ্গায় সীমান্ত জওয়ানদের মাঠে অনুশীলনের পর মোহন-কোচ সেনাদের মতোই আক্রমণাত্মক। “গ্রুপের প্রথম ম্যাচটা জিততেই হবে। সে জন্য যা করার দরকার সেটাই করব।”
সুভাষ ভৌমিকের দলের সঙ্গে ওডাফা-টোলগে-নবিদের ‘যুদ্ধ’ বৃহস্পতিবার রাতে। তার ৪৮ ঘণ্টা আগেই গোয়া-বাংলা ক্লাব-যুদ্ধে ঘিরে তেতে উঠেছে শিলিগুড়ি। বারবারই কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম মানেই ছিল লাল-হলুদের দাপট। ট্রেভর মর্গানের বাহিনী আসবে আজ বুধবার দুপুরে। তার আগেই এ দিন দাপিয়ে বেড়াল সবুজ-মেরুন ‘বাইক বাহিনী’। মোহনবাগান কর্মসমিতির সদস্য অরূপ মজুমদারের নেতৃত্বে টিম বাসকে দশ কিলোমিটার রাস্তা এসকর্ট করে বিমানবন্দর থেকে হোটেলে নিয়ে এল তাঁরা। রাতে লাগানো শুরু হয়েছে মোহন-পতাকা। যা দেখে আরও তেতে গিয়েছেন টোলগেরা। অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকার বলে দিলেন, “ফেড কাপ জিতে এ এফ সি কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতেই হবে। ইস্টবেঙ্গলকে ফেড কাপ দিয়েছি। এ বার মোহনবাগানকে দেব।” পাশাপাশি তাঁর আরও একটা লক্ষ্য ইস্টবেঙ্গলের মুখোমুখি হলে উগা ওপারাকে হারিয়ে গোল করা। হাসতে হাসতে বললেন, “উগা আমার বন্ধু। কিন্তু সামনে পড়লে ওকে হারাবই। গোলও করব।”
ইস্টবেঙ্গল মুখোমুখি হওয়া অবশ্য অনেক অঙ্ক এবং দূরের ব্যাপার। তার আগে গ্রুপের বাধা টপকাতে হবে টোলগেদের। সেটা তিনি নিজেও জানেন। এবং এটাও জানেন জিতব বললেই জেতা যায় না। সে জন্যই পরে কথা বলতে বলতে তাঁর সতর্ক মন্তব্য, “গত বছর ফেড কাপে প্রথম ম্যাচে মহমেডানের সঙ্গে ১-১ ড্র করে সমস্যায় পড়েছিল ইস্টবেঙ্গল। এ বার সেটা হতে দিতে চাই না। শুরুর ম্যাচটা জিতলে চাপ অনেক কমে যাবে। আমাদের রক্ষণ কিন্তু খুব ভাল খেলছে।” টোলগে এ দিন পুরো অনুশীলন করলেও ওডাফা করেননি। অনুশীলনের বেশিরভাগ সময় তিনি কাটান রি হ্যাব স্পেশালিস্ট জোনাথনের কাছে। তবে মোহন- কোচ ইঙ্গিত দিলেন, “ওডাফা-টোলগেই শুরু করবে। কোনও সমস্যা হবে না।”
চার্চিল ম্যাচ জিততে মরিয়া সন্তোষ এ দিন দল গড়ে খেলাননি। কিন্তু দেখে মনে হল, রহিম নবিকে আক্রমণে ব্যবহার করার কথা ঘুরছে তাঁর মাথায়। টানা বৃষ্টি থেমে গিয়ে এ দিন ঝলমলে রোদ উঠেছে এখানে। দূরে দার্জিলিং-কালিম্পং পাহাড়ের কোলের গাছে পড়ে তা চিকচিক করছে। চার্চিল ব্রাদার্স কোচ এ দিন বেটো-হেনরিদের নিয়ে অনুশীলন করেছেন সকালে। মোহনবাগানকে হারাতে নানা অঙ্ক কষছেন পোড় খাওয়া চার্চিল কোচ। এসে পড়েছে মহমেডান। মায়ের অসুস্থতার জন্য কোচ অলোক মুখোপাধ্যায় আসেননি। আজ বুধবার আসবেন। তাদের বৃহস্পতিবারের প্রতিদ্বন্দ্বী এয়ার ইন্ডিয়াও হাজির।
কিন্তু এখনও পর্যন্ত যাবতীয় আগ্রহ ওডাফা-টোলগে জুটিকে ঘিরে। ওদের সঙ্গে ছবি তোলার জন্য যা হুড়োহুড়ি দেখা গেল তাতে কে বলবে শিলিগুড়ি ইস্টবেঙ্গলের শহর। দেখার চিডি-পেনরা এলে কী হয়?




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.