...আঠারো বছর দেশের হয়ে খেলার পরে সেই খেলাটার জাতীয় ফেডারেশনের কাছ থেকে শুনতে হচ্ছে আমি বিশ্বাসঘাতক। যেটা আমার পক্ষে হজম করা সম্ভব নয়। রোহন আর আমাকে নির্বাসনে পাঠানোর বিরুদ্ধে কিছু করতে পারব কি না জানি না। তবে ফেডারেশনের এই সিদ্ধান্ত আমাদের মেনে নেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। এর বিরুদ্ধে আমার আইনজীবীরা কাগজপত্র তৈরির কাজ শুরু করেছেন। আমরা অবশ্যই এআইটিএ-র বিরুদ্ধে আদালতে যাব। এআইটিএ-তে নামেই একটা কার্যকরী কমিটি আছে। কিন্তু আসলে ফেডারেশনটা একজন লোকই চালান। আর সেটা পুরোপরি একনায়কতন্ত্রের মনোভাব নিয়ে। তাঁর নাম অনিল খন্না। যিনি ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ নীতিকে নতুন করে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। যিনি নোংরা রাজনীতির খেলা খেলে এ দেশের টেনিস প্লেয়ারদের মধ্যে ঝামেলা লাগিয়ে রাখেন। এমনকী লিয়েন্ডার আর আমার ঝগড়ার পিছনেও এই লোকটাই। এ বার অলিম্পিকের সময় লিয়েন্ডারের কাঁধে বন্দুক রেখে অনিল আমার দিকে অনেকবার গুলি ছুড়েছেন। দুর্ভাগ্যবশত প্রচারমাধ্যম এটাকে ভূপতি বনাম পেজ লড়াই শিরোনাম দিয়েছে। আসল সত্যটা প্রশ্নের সামনে পড়েনি। |
অনিলের কমিটিতে আশি শতাংশেরও বেশি সদস্য প্রায় কুড়ি বছর ধরে টানা রয়েছেন। অথচ একটাও পেশাদার প্লেয়ার দেশকে দিতে পারেনি। আমি নিজে তো বটেই, কৃষ্ণনরা, অমৃতরাজরা, জিশান, লিয়েন্ডার, সানিয়া, রোহন, সোমদেব, য়ুকি, এমনকী এই মুহূর্তে দেশের সেরা জুনিয়র টেনিস প্লেয়ার সুমিত নাগাল নিজের নিজের সিস্টেমের ফসল। যখনই আমি দেশের টেনিসের উন্নতির জন্য কিছু করতে চেয়েছি, এআইটিএ আমাকে আটকেছে। টেনিস আমাকে সব দিয়েছে। আর ঈশ্বরের কৃপায় এই খেলাটাকে অনেক কিছু ফিরিয়ে দেওয়ার মতো স্বচ্ছ্বলতাও আমার আছে। টেনিস কোর্ট তৈরি, বাচ্চা প্লেয়ারদের জন্য আর্থিক তহবিল গড়া, টুর্নামেন্ট করা, দেশ জুড়ে টেনিস অ্যাকাডেমি গড়াসবই করেছি, আরও করতে চাই। কিন্তু আমার প্রতিটা কাজে ফেডারেশনের সর্বেসর্বা অনিল খন্না ব্যাগড়া দিয়ে চলেছেন। এমনকী এআইটিএ তার গঠনতন্ত্র অবধি পাল্টে ফেলেছে যাতে ওদের বাদ দিয়ে আমি কোনও টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে না পারি! আমার অ্যাকাডেমির প্লেয়ারদের অনেক সময় এআইটিএ-র টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পর্যন্ত দেওয়া হয় না। অথচ আমার অ্যাকাডেমিরই ফসল সুমিত। অনিলের যেটা করা উচিত ছিল, এ দেশের টেনিসের সেই উন্নতি আমি করছি দেখে ও প্রচণ্ড হতাশ। আইওএ এবং ক্রীড়ামন্ত্রককে আমি অনুরোধ করতে চাই, তারা যেন এআইটিএ-র একনায়কতন্ত্রের হাত থেকে ভারতীয় টেনিসকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন... |