অনূর্ধ্ব ১৪ বছরের ৫৮তম রাজ্য স্কুলস্তরের ফুটবল টুর্নামেন্টে চাম্পিয়ন হল দক্ষিণ কলকাতা। হুগলিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে দক্ষিণ কলকাতা চ্যাম্পিয়ান হয়। ওই ৩টি গোলের মধ্যে ২টি গোল দিয়ে সেরা ফুটবলারের শিরোপা অর্জন করে বাবু ঘোষ। গত রবিবার বহরমপুর ব্যারাক স্কোয়ার ময়দানে ওই ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
‘মুর্শিদাবাদ ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল ফর স্কুল অ্যান্ড গেমস’-এর সভাপতি শেখ ফুরকান বলেন, “রাজ্যের ১৯টি জেলা নিয়ে ১৯টি ফুটবল টিম গঠন করা হয়। ওই দলগুলির মধ্যে প্রথম পর্যায়ে যোগ্যতা নির্দ্ধারণের জন্য প্রতিযোগিতা হয়। ওই প্রতিযোগিতা থেকে ৮টি দলকে কোয়ার্টার ফাইনালের জন্য বেছে নেওয়া হয়। গত শুক্রবার ও শনিবার বহরমপুর ব্যারাক স্কোয়ার ময়দানে ওই দলগুলির মধ্যে কোর্য়াটার ফাইনাল খেলা হয়।” ৪টি কোর্য়াটার ফাইনাল খেলায় দক্ষিণ কলকাতা, নদিয়া, হুগলি ও উত্তর ২৪ পরগনা চাম্পিয়ান হয়। ব্যারাক স্কোয়ার ময়দানে গত শনিবার ওই ৪টি দলের মধ্যে সেমিফাইনাল খেলা হয়। প্রথম সেমিফাইনালে দক্ষিণ কলকাতা ১-০ গোলে নদিয়াকে পরাস্ত করে ফাইনালে পৌঁছয়। ওই দিনই দ্বিতীয় সেমিফাইনাল খেলা হয় হুগলি ও উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যে। কিন্তু গোল শূন্য অবস্থায় ওই দিন খেলা অসমাপ্ত থাকে। ‘মুর্শিদাবাদ ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল ফর স্কুল অ্যান্ড গেমস’-এর সংগঠক দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, “সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে আলোর অভাবের কথা তুলে প্রতিদ্বন্দ্বী দু’টি দলের পক্ষ থেকে খেলা বন্ধ রাখার দাবি করা হয়। ওই দাবি মেনে নিয়ে অমীমাংসিত অবস্থায় সেদিনের মতো খেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পর দিন রবিবার সকালে ওই দু’টি দলের মধ্যে ট্রাইবেকার হয়। হুগলি ৪-১ গোলে উত্তর ২৪ পরগনাকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছয়।”
তারপর হুগলি ও দক্ষিণ কলকাতার মধ্যে শুরু হয় ফাইনাল খেলা। নির্দ্ধারিত সময়ে উভয় দলই একটি করে গোল দেয়। ফলে খেলা অমীমাংসিত হয়ে পড়ে। শেখ ফুরকান বলেন, “ফলে অতিরিক্ত সময় খেলানো হয়। অতিরিক্ত সময়ে দক্ষিণ কলকাতা আরও ২টি গোল দিয়ে ৫৮তম রাজ্য স্কুলস্তরের অনূর্ধ্ব ১৪ বছরের ফুটবল টুর্নামেন্টে চাম্পিয়ান হয়।” চাম্পিয়ান ও রানার্স দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন ‘মুর্শিদাবাদ ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল ফর স্কুল অ্যান্ড গেমস’-এর নির্বাহী সভাপতি মহম্মদ আলি। বাবু ঘোষকে দেওয়া হয় সেরা ফুটবলারের শিরোপা। |