পূর্বাঞ্চল থেকে জাতীয় নির্বাচক বাছা নিয়ে নাটক চরমে পৌঁছল। আজ মঙ্গলবার, নির্বাচক ঠিক করার জন্য আঞ্চলিক বৈঠক হওয়ার কথা ছিল সিএবি-তে। কিন্তু পূর্বাঞ্চলের চারটি রাজ্যসংস্থা চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিল, সিএবি-তে তারা কোনও নির্বাচক সংক্রান্ত বৈঠক করবে না। সেটা হবে মুম্বইয়ে।
সোমবার যে চার রাজ্যের (অসম, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা ও ত্রিপুরা) চিঠির বয়ান এসে পৌঁছেছে সিএবিতে, তাতে নির্দিষ্ট করে কোনও কারণ লেখা নেই। শুধু বলা আছে, চারটি রাজ্যসংস্থার কেউই নির্বাচক-সংক্রান্ত কোনও বৈঠক সিএবি-তে এসে করতে চায় না। বরং আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর মুম্বইয়ে, বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভার ঠিক আগের দিন সেই বৈঠক হবে। কিন্তু বেসরকারি ভাবে জানা গেল, সিএবি-তে বৈঠক হলে অরূপ ভট্টাচার্যকে নির্বাচক করা নিয়ে রাজনৈতিক চাপ আসতে পারত, সেই আশঙ্কাতেই নাকি এমন সিদ্ধান্ত। এমনিতে পূর্বাঞ্চলের পাঁচ রাজ্যের নির্বাচক বাছাই নিয়ে মতৈক্যের সম্ভাবনা বিশেষ নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রের বোর্ডের হস্তক্ষেপও নাকি হতে পারে শেষ পর্যন্ত। কারণ, অসম থেকে প্রস্তাব করা হচ্ছে রাজেশ ভোরার নাম। ঝাড়খণ্ডের প্রার্থী সাবা করিম। ওড়িশা আবার তুলে আনছে জাতীয় দলের প্রাক্তন পেসার দেবাশিস মোহান্তিকে। আর সিএবি জানাচ্ছে, সরকারি ভাবে তারা অরূপ ভট্টাচার্যের নাম প্রস্তাব করছে ঠিকই, কিন্তু সেটা রাজনৈতিক চাপে পড়ে। প্রসঙ্গত, রাজ্যের নগরোন্নয়ণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের শ্যালক হলেন অরূপ।
আর অরূপ নিজে কী বলছেন? তাঁকে ঘিরে এমন ডামাডোল নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে এ দিন রাতে অরূপ বললেন, “নির্বাচক শেষ পর্যন্ত কে হবে সেটা তো ঠিক করবে সিএবি আর বোর্ড। কিন্তু যে ভাবে আমার ক্রিকেট কেরিয়ার বাদ দিয়ে আমার রাজনৈতিক সম্পর্কের ব্যাপার তুলে আনা হচ্ছে, তাতে আমি অবাকই হচ্ছি।” এখানেই শেষ নয়। অরূপের আরও প্রশ্ন, “এর আগে আমি বোর্ডের টেকনিকাল কমিটিতে ছিলাম। বাংলার নির্বাচক প্রধান হয়েছি। তখন আমার কোন রাজনৈতিক সম্পর্ক ছিল?” |