বধূ নির্যাতনে অভিযুক্ত অর্থমন্ত্রীর ও এস ডি
ধূ নির্যাতনের অভিযোগ উঠল রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রর ‘অফিসার অন স্পেশ্যাল ডিউটি’ ভাস্কর কুমারের বিরুদ্ধে। ভাস্করবাবুর স্ত্রী সোনিয়া কুমার ওই সরকারি অফিসার এবং তাঁর বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে উত্তরপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ সূত্রের খবর, তিন জনেই পলাতক। তাঁদের খোঁজ চলছে। ভাস্করবাবু রাজ্যের আবগারি দফতরে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদে নিযুক্ত। তবে মাস দু’য়েক ধরে তিনি অর্থমন্ত্রীর ‘অফিসার অন স্পেশ্যাল ডিউটি’ পদেও কাজ করছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ভাস্করবাবুর বাড়ি কোন্নগরের নবগ্রামে নৈটি রোডের ধারে। বছর তিনেক আগে কোন্নগরের ক্রাইপারে রোডের সোনিয়ার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের বছর দু’য়েকের একটি ছেলে আছে। সোনিয়ার দাবি, বিয়ের সময় নগদ টাকা-সহ পর্যাপ্ত যৌতুক দেওয়া হয়। ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর ওই তরুণীর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই নানা অছিলায় তাঁর উপরে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করতেন স্বামী, শ্বশুর শক্তিসাধনবাবু এবং শাশুড়ি স্মৃতিকণাদেবী। তাঁকে সিগারেটের ছ্যাঁকাও দেন স্বামী।
বধূটির দাবি, ‘অত্যাচার’ সহ্য করতে না পেরে গত ১৬ অগস্ট ভোরে শ্বশুরবাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। গঙ্গায় ঝাঁপ দেন। কয়েকজন তাঁকে উদ্ধার করেন। ওই দিন থেকে তিনি বাপের বাড়িতে থাকছেন। ছেলে শরদিন্দুও তাঁর কাছেই থাকছিল। গত রবিবার বিকেলে ভাস্করবাবু ছেলেকে নিয়ে চলে যান। সোমবার উত্তরপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সোনিয়া। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মঙ্গলবার বহু চেষ্টা করেও ভাস্করবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর মোবাইল বন্ধ ছিল। স্মৃতিকণাদেবীর মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে ফোন ধরে এক ব্যক্তি নিজেকে ভাস্করবাবুর ‘খুড়তুতো দাদা’ বলে পরিচয় দেন। তবে নাম বলেননি। ওই লোকটির দাবি, “ভাস্কর এখানে নেই। ভাস্করের স্ত্রী-র মানসিক সমস্যা রয়েছে। তা নিয়েই ভাস্কর এবং ওর বাবা-মা উদ্বিগ্ন।” স্মৃতিকণাদেবী বা শক্তিসাধনবাবু সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন না বলেও দাবি করা হয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.