নিজস্ব সংবাদদাতা • শেওড়াফুলি |
আয়কর দফতরের অফিসার সেজে এক গয়না ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগে মঙ্গলবার এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ধৃতের নাম চন্দ্রকান্ত পাঁজা। তাঁর বাড়ি চুঁচুড়ার পিপুলপাতিতে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে শেওড়াফুলির সোনালি পার্কে রঞ্জিত জানা নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে যান চন্দ্রকান্ত। ওই বাড়িতে সোনা-রুপোর গয়না তৈরির কাজ হয়। অভিযোগ, নিজেকে ‘ট্যাক্স অফিসার’ পরিচয় দিয়ে ‘প্রফেশন্যাল ট্যাক্স’ হিসেবে টাকা দাবি করেন। ওই কর না দিলে বাড়িতে সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে তল্লাশি চালানো হবে এবং তাতে নানা রকম সমস্যা হবে বলে হম্বিতম্বি জুড়ে দেন। হাবভাব দেখে তাঁকে সরকারি অফিসার বলে ভেবে নেন রঞ্জিতবাবুরা। চন্দ্রকান্ত ২৩৫০ টাকা দাবি করেন। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, প্রথমে ১৫০০ টাকা তাঁর হাতে দেন ওই ব্যবসায়ী। ব্যবসা-সংক্রান্ত কর আদায়ের একটি কাগজ (চালান)-এ টাকার অঙ্ক লিখে নেন চন্দ্রকান্ত। ব্যবসায়ীকে ওই কাগজের ফটোকপি দেওয়া হয়। ঠিক হয় বাকি টাকা সন্ধ্যায় এসে নিয়ে যাবেন।
চালানটি হাতে পেয়ে রঞ্জিতবাবুদের সন্দেহ হয়। কেননা, তাতে কোনও সিলমোহর ছিল না। তিনি শ্রীরামপুরে ট্যাক্স অফিসে ‘রসিদ’টি দেখান। সেখান থেকে তাঁকে জানানো হয়, এই ভাবে ব্যবসা-সংক্রান্ত কর আদায় করা হয় না। চন্দ্রকান্তের দেওয়া কাগজটিরও সরকারি মান্যতা নেই। এর পরেই ওই ব্যবসায়ী পুলিশের দ্বারস্থ হন। তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ রঞ্জিতবাবুর বাড়িতে বাকি টাকা আদায় করতে যান চন্দ্রকান্ত। তখনই তাঁকে ধরা হয়। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, ব্যবসায়ীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ, বুধবার ধৃতকে শ্রীরামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে। |