|
|
|
|
বিহারে লাগাতার বর্ষণ, জলমগ্ন পটনা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
চারদিনের বৃষ্টিতে বিহারের রাজধানী জলের তলায়। ভারি বর্ষণে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি আবাস, ১ নম্বর অ্যানে মার্গ থেকে শুরু করে সচিবালয় এবং ভিআইপি এলাকা হিসেবে পরিচিত সাকুর্লার রোড, সবই জলের তলায়। লালু প্রসাদ যাদবের বাড়ির সামনেও জল। এ ছাড়াও পটনার বিভিন্ন এলাকাও জল থৈথৈ। বর্ষায় রাজধানী পটনার এই হাল নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না বিরোধীরা। পটনার আবহাওয়া দফতর বলছে, বিহার এবং ঝাড়খন্ডে মৌসুমি অক্ষরেখা এখনও সক্রিয়। ফলে আগামী ৪৮ ঘণ্টা বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।
সমগ্র বিহার জুড়ে ১৪ তারিখ বিকেল থেকে ১৭ তারিখ বিকেল পর্যন্ত গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৪৫ মিলিমিটার। অন্য দিকে এই চারদিনে শুধুমাত্র পটনায় বৃষ্টি হয়েছে ২০৮ মিলিমিটার। আবহাওয়া দফতরের খবর, ঝাড়খন্ড এবং বিহার সীমানায় মৌসুমী অক্ষরেখা এবং একটি ঘূর্ণাবর্তের কারণেই এই ভারি বর্ষণ। ঘূর্ণাবর্তটি সরে গেলেও মৌসুমি অক্ষরেখাটি এখনও সক্রিয়। ফলে লাগাতার ভারি বর্ষণ না হলেও বৃষ্টি চলবে। আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা আশিস কুমার সেন বলেন, “বঙ্গোপসাগরে নতুন করে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হচ্ছে। তাতে পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা উপকূলে ভারি মাত্রায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে বিহারেও ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা থাকছে। তবে সার্বিক পরিস্থিতি বোঝা যাবে বৃহস্পতিবারের পর।” |
|
জলমগ্ন পটনা। পিটিআইয়ের ফাইল চিত্র। |
চারদিনের এই বৃষ্টিতে পটনার শ্রীকৃষ্ণপুরী, কদমকুঁয়া, বোরিং রোড, রাজেন্দ্রনগর, কঙ্করবাগ এবং পটনা স্টেশন এলাকা জলমগ্ন। শহরের বিভিন্ন জায়গার আর্বজনায় নালাগুলির মুখ প্রায়ই আটকে থাকে। শহরের আর্বজনা পরিষ্কার করা নিয়ে আদালতের নির্দেশে ছবিটা মাঝেমধ্যে বদলালেও তা ব্যতিক্রম। নালাগুলি তৈরির ক্ষেত্রে কারিগরির দিকটি উপেক্ষিত থেকে গিয়েছে বলে বিরোধী দল আরজেডি-র পক্ষ থকে অভিযোগ করা হয়েছে। দলের সাংসদ রামকৃপাল যাদব বলেন, “লালু প্রসাদ বা রাবড়ি দেবীর সময়ে শহরে জল জমলে তৎকালীন বিরোধী দলনেতা সুশীল মোদী ধর্ণায় বসে যেতেন। এখন তাদের শাসনকালে বিহারে কী হচ্ছে?” তাঁর কটাক্ষ, “নীতীশ সরকার মুখে উন্নয়নের কথা বলছেন। অথচ সামান্য নিকাশি ব্যবস্থাকে ঠিক করতে পারছে না এই সরকার। এখানে উন্নয়ন হবে কী করে। যা কিছু হচ্ছে সব লোক দেখানো। মানুষ দেখছেন, তাঁরাই বিচার করবেন এবং সিদ্ধান্ত নেবেন।” পটনা পুর নিগমের কমিশনার পঙ্কজ কুমার পাল বলেন, “জল জমার কারণগুলিকে আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি। মূলত নীচু এলাকাতেই জল জমেছে। জমা জল দ্রুত বের করার চেষ্টা হচ্ছে। নালাগুলি আগেই পরিষ্কার করা হয়েছে।” তাঁর মতে, “আর্বজনার ক্ষেত্রে পটনাবাসীকে আরও সচেতন হতে হবে।” |
|
|
|
|
|