|
|
|
|
‘ভস্ম করব বিদেশি দোকান’, উমার যাত্রায় সেই রাজনীতি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
বলেছিলেন, তাঁর যাত্রা হবে অরাজনৈতিক। আজ নিজেই তার গঙ্গা অভিযানে রাজনীতির রং লাগিয়ে দিলেন উমা ভারতী। এবং অবশ্যই তাঁর নিজস্ব ঢঙে! গঙ্গাসাগর থেকে গঙ্গোত্রী পর্যন্ত যাত্রা শুরুর তিন দিন আগে উমা আজ ঘোষণা করলেন, তাঁর যাত্রাপথে বিদেশি লগ্নিতে কোনও খুচরো ব্যবসার দোকান চোখে পড়লেই সেগুলি ‘ভস্ম’ করে দেবেন।
বিজেপি-র সঙ্গে সুর মিলিয়ে উমা আগেই ঘোষণা করেছিলেন, ওয়ালমার্টের মতো কোনও বিদেশি সংস্থা এ দেশে খুচরো ব্যবসায় এলে সেগুলিতে আগুন ধরিয়ে দেবেন। আজ তিনি বলেন, “এই অবস্থান থেকে আমি সরছি না। কলকাতা বা কানপুর, আমার যাত্রাপথে যেখানেই এ ধরনের দোকান দেখব, সেগুলিতে আগুন ধরিয়ে দেব। কারণ, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে গরিব, দলিত, অনগ্রসরদের রুজিতে টান পড়বে।”
এ ভাবে নিজের গঙ্গা অভিযানে রাজনৈতিক মাত্রা যোগ করলেও, বাস্তবে যাত্রাপথে তেমন কোনও দোকান নজরে পড়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ফলে তা ‘ভস্ম’ করার সুযোগ তাঁর সামনে আসবে কি না সে প্রশ্ন থাকছেই। কারণ, কেন্দ্রীয় সরকার সবেমাত্র খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নি ও সংস্থাকে এ দেশে ঢুকতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শরিক তৃণমূলের ইউপিএ-২ সরকার থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত ও অন্য দলগুলির বিরোধিতার ঝড়ঝাপটা পেরিয়ে উমার যাত্রার মাসখানেকের মধ্যেই এমন কোনও দোকান চালু হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তা ছাড়া, উমা যাবেন পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড দিয়ে। তিনিও জানেন, উত্তরাখণ্ডের মতো কংগ্রেস-শাসিত রাজ্য ছাড়া বাকি তিনটি রাজ্যের সরকার খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নির বিরোধিতা করে আসছে আগে থেকেই।
তবু কেন দোকান পোড়ানোর কথা বলছেন? স্পষ্টতই গঙ্গা অভিযানকে রাজনৈতিক ভাবে প্রাসঙ্গিক করে তুলতে। জাতীয় স্তরে নিজেকে ফের প্রাসঙ্গিক করে তোলাই মূল লক্ষ্য উত্তরপ্রদেশের এই বিধায়কের। গোটা সঙ্ঘ পরিবার শুধু নয়, বিজেপি-র একটি বড় অংশের সমর্থন উৎসাহ বাড়াচ্ছে তাঁর। এই যাত্রার জন্য গঙ্গা নিয়ে তথ্যচিত্রও তৈরি করে দিয়েছেন লালকৃষ্ণ আডবাণীর কন্যা প্রতিভা। সে কারণে গোড়া থেকে যে উমা বলে এসেছেন, তাঁর যাত্রা অরাজনৈতিক হবে, দলীয় পতাকাও থাকবে না, আজ সেই অবস্থান থেকে সরে এলেন তিনি। দল ও সঙ্ঘের কর্মসূচিকে জুড়ে নিলেন যাত্রার সঙ্গে। তাঁর কথায়, “দেশের সম্পদেই স্বনির্ভর হতে পারে অর্থনীতি। যাত্রাপথে এই বিষয়টি নিয়েই আমি মুখর হব।” |
|
|
|
|
|