মাঠে ঘাস কাটার সময় এক বিধবাকে হাঁসুয়া দেখিয়ে, মুখে গামছা গুঁজে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী গ্রামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার শামিয়াকোচা মাঠে। মহিলার বাড়ি চাঁচল থানার কাপাসিয়া এলাকায়। শনিবার রাতে চাঁচল থানায় অভিযোগ জানান ওই মহিলা। দু’দিন খোঁজাখুঁজি করে অভিযুক্তের হদিশ না পেয়ে শনিবার রাতে মহিলাকে নিয়ে থানায় হাজির হন এলাকারই কিছু বাসিন্দা। রাতেই ওই মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ডাক্তারী পরীক্ষা করানোর ব্যবস্থা করেন চাঁচল থানার আইসি নিতাই ঘোষ। সেখানে যান হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি বিপুল বন্দোপাধ্যায়। ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রতিবেশী গ্রামের বলে দাবি করলেও তার নাম ওই মহিলা পুলিশকে জানাতে পারেননি।
মালদহের পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “অভিযুক্তের নাম জানাতে পারেননি ওই মহিলা। পুলিশ অভিযুক্তকে চিহ্নিত করতে তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনাটি হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় ঘটলেও মহিলাকে নিয়ে বাসিন্দারা চাঁচলে হাজির হন। তা জেনে মহিলাকে হরিশ্চন্দ্রপুরে না পাঠিয়ে চাঁচলেই অভিযোগ নিয়ে মামলা করতে বলা হয়।” পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১২ বছর আগে ওই মহিলার স্বামী মারা গিয়েছেন। একমাত্র ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন। ঘাস কেটে, দিনমজুরি করে কোনওরকম ভাবে সংসার চালান বছর ৪৮-এর ওই বিধবা। শুক্রবার তিনি হরিশ্চন্দ্রপুরের শামিয়াকোচা মাঠে ঘাস কাটতে যান। তখন মাঠে লোকজন ছিল না। ওই সময় লতাসি গ্রামের এক ব্যক্তি তাঁকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। বাসিন্দাদের অভিযোগ, লতাশি গ্রামের অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মাঠেই অনেকবার দেখেছেন মহিলা। তাকে দেখলে চিনতে পারলেও তার নাম জানেন না তিনি। গ্রামে গিয়ে স্থানীয়দের সাহায্য চাওয়া হয়েছে। মহিলা বলেন, “মাঠে কেউ ছিল না। আমি বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে হাঁসুয়া দিয়ে কেটে ফেলার ভয় দেখানো হয়। ওই ব্যক্তিকে দেখলেই চিনতে পারব।” মহিলার আত্মীয় পশুপতি সোরেন বলেন, “প্রথমে গ্রামে গিয়ে অভিযুক্তকে খোঁজার চেষ্টা করি। কিন্তু গ্রামের বাসিন্দাদের সাহায্য মেলেনি। সে জন্যই অভিযোগ জানাতে দেরি হয়েছে।” |