|
|
|
|
ঈদে পাক মহিলাকে জীবন দান ভারতের |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
ঈদে আরও ভাল উপহারের কথা ভাবতেও পারেন না জাইবউন্নিসা। পাকিস্তানের শিয়ালকোটের এই বাসিন্দার কার্যত পুনর্জন্ম হয়েছে। ঘটনার নায়ক এক দল ভারতীয় চিকিৎসক।
লিভারের অসুখে ভুগছিলেন জাইবউন্নিসা। লাহৌরের হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েও কোনও ফল হয়নি। ফলে, প্রায় আশা ছেড়ে দিয়েছিল তাঁর পরিবার। সেই সময়ে ভারতের হাসপাতালগুলির কথা জানতে পারেন তাঁর ছেলে ওমর সুভানি। যোগাযোগ করেন দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের সঙ্গে। তার পরের অভিজ্ঞতা সীমান্ত পারের চিকিৎসা আর ভালবাসা পাওয়ার।
সুভানির লিভার তাঁর মায়ের দেহে প্রতিস্থাপন করেন স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের চিকিৎসকরা। জাইবউন্নিসার লিভার রীতিমতো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ১৬ ঘণ্টা জটিল অস্ত্রোপচারের পরে তাঁকে বাঁচাতে পেরেছেন চিকিৎসকরা।
কাকতালীয় ভাবে ১৪ অগস্ট, পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে জাইবউন্নিসার অস্ত্রোপচার হয়। পর দিন ছিল ভারতের স্বাধীনতা দিবস। জাইবউন্নিসাকে ঘিরে যেন উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল দু’দেশের মানবিক সম্পর্ক।
দিল্লির রাজিন্দরনগরে মা’কে নিয়ে থাকছিলেন সুভানি। বাড়িওয়ালা থেকে শুরু করে অসংখ্য মানুষের সাহায্য পেয়েছেন তিনি। মা’র জন্য রক্ত চেয়ে পোস্টার দিয়েছিলেন। রক্ত দিতে এগিয়ে এসেছেন অসংখ্য অপরিচিত মানুষ। তাঁদেরই এক জন ২৮ বছরের আকাশ। তাঁর বক্তব্য, রক্ত দিয়ে জাইবউন্নিসাকে বাঁচানো গিয়েছে এটাই বড় কথা। তিনি কোন দেশের নাগরিক তা জানার প্রয়োজন নেই।
কয়েক বছর আগে পাকিস্তানের শিশু নূর ফতিমার প্রাণ বাঁচিয়ে কার্যত দু’দেশের সম্পর্কে নতুন প্রাণ এনেছিলেন চিকিৎসক দেবী শেট্টি ও তাঁর সহযোগীরা। একই রকম অভিজ্ঞতা হয়েছে জাইবউন্নিসার। তাঁর দাবি, ভারত ও পাকিস্তানের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ আরও বাড়া উচিত। তবেই একে অপরের হৃদয়ের কথা বুঝতে পারবেন তাঁরা। এক সপ্তাহের মধ্যেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে যাবেন জাইবউন্নিসা। তিনি নিজের দেশ পাকিস্তানে ফিরে যাবেন। সঙ্গী হবে সীমান্ত-পারের বন্ধুদের স্মৃতি। |
|
|
|
|
|