গজলডোবা
তিস্তা নদীর সেতু রক্ষায় যান নিয়ন্ত্রণ
তাব্দী প্রাচীন সেবক করোনেশন সেতুতে দশ টনের বেশি পণ্য বহন আগেই বন্ধ করা হয়েছিল। সংস্কারের অভাবে বেহাল জলপাইগুড়ির তিস্তা সেতুও। এ বার গজলডোবায় বেহাল রাস্তার কারণে ১০ টনের বেশি যান চলাচলে সেচ দফতর আপত্তি তোলায় বিপাকে ডুয়ার্সের বাসিন্দারা। শিলিগুড়ি এবং জলপাইগুড়ি থেকে পণ্য আনা নেওয়ার জন্য এই তিনটি সেতু ডুয়ার্সের মালবাজার, ওদলাবাড়ি, নাগরাকাটা-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের ভরসা। সেবক করোনেশন এবং তিস্তা সেতু দিয়ে পণ্য আনা নেওয়ায় সমস্যা তৈরি হওয়ায় গজলডোবায় তিস্তা ব্যারাজ কর্তৃপক্ষের সেতুই ছিল একমাত্র ভরসা। সেচ কর্তৃপক্ষ ওই সেতু দিয়ে পণ্য আনা নেওয়ায় আপত্তি তোলায় ক্ষুব্ধ ট্রাক মালিকেরা আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন। তিস্তা সেচ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ওদলাবাড়ি থেকে গজলডোবা সেতু পর্যন্ত রাস্তা বেহাল হয়ে পড়েছে। সেই কারণেই আপত্তি তোলা হয়েছে। পূর্ত দফতরকে দ্রুত রাস্তা মেরামত করতে বলা হয়েছে। তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্পের মুখ্য বাস্তুকার সুকুমার নস্কর বলেন, “গজলডোবার পথ বেহাল হয়ে পড়েছে। ভারী যান চলাচলের ফলে ব্যারাজ সেতুও বড় ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। জুলাই মাসের প্রথমে সেচমন্ত্রী ডুয়ার্সের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে এই পথ দিয়ে ফেরার সময় বেহাল পথ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।” ওদলাবাড়ির বাগান মোড় থেকে তিস্তা ব্যারাজের পথে সংস্কার কাজ যাতে শুরু হয় সে বিষয়ে তিনি পূর্ত দফতরকে জানিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন মুখ্য বাস্তুকার। এত দিন তিস্তা সেতু ছাড়া সেবকের করোনেশন সেতুই ছিল ডুয়ার্সে পণ্য পরিবহণের অন্যতম রাস্তা। চলতি বছরের প্রথম দিকে সেতুতে ফাটল দেখা দিলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণের সুপারিশ করেন। এমনকী, ফাটল মেরামত করার পরেও ওই সেতু দিয়ে আদৌ ভারী যান চলাচল সম্ভব কি না নিশ্চিত নন পূর্ত আধিকারিকেরা। দফতরের জাতীয় সড়ক-৯ বিভাগের নির্বাহী বাস্তুকার নির্মল মন্ডল বলেন, “শীঘ্রই সেবক করোনেশনের সংস্কার শুরু হবে। তারপর ১০ টনের বদলে ১৬ টন পর্যন্ত যান চলাচলের অনুমতি দেওয়া যাবে কি না খতিয়ে দেখা হবে।” ততদিন পণ্য বোঝাই ট্রাক কীভাবে চলাচল করবে সেই ব্যাপারে উদ্বিগ্ন জলপাইগুড়ি ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের সহ সম্পাদক মানস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ওভারলোডিং-এর বিরুদ্ধে আমরাই পথে নেমে প্রতিবাদ করেছিলাম। এখন যদি ১০ টনের গাড়িকেও ছাড় না দেওয়া হয় তা হলে ডুয়ার্সের ব্যবসাদারেরা পথে বসবেন।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.