বিদ্যুৎবাহী তার চুরির চক্রের ৬ জনকে গ্রেফতার করার দাবি করল পুলিশ। ধৃতেরা পুরুলিয়া শহর, আদ্রা ও পাড়া থানা এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে পুরুলিয়া-বরাকর রাজ্য সড়কে নিতুড়িয়া থানার পারবেলিয়া এলাকা থেকে চুরি করা তার পাচার করার সময়ে তাদের হাতেনাতে ধরা হয়। শনিবার ধৃতদের রঘুনাথপুর আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাদের মধ্যে তিনজনকে পুলিশ হেফাজত ও বাকি তিনজনকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি সাঁতুড়ি থানার ঢেঁকশিলা গ্রামে এক বেসরকারি সংস্থার গুদামে দুই নিরাপত্তা রক্ষীকে বেঁধে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎবাহী তার চুরির ঘটনা ঘটেছিল। পুলিশের দাবি, ঘটনার তদন্তে নেমে ওই তার চুরির চক্রের হদিশ তাঁরা পান। সেই সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে তার পাচার করার সময়ে পারবেলিয়াতে ওই ছ’জনকে ধরে পুলিশ। আটক করা হয়েছে একটি গাড়ি ও ৫ কুইন্ট্যাল তার। তাদের কাছ থেকে বেশ কয়েক হাজার টাকাও পুলিশ উদ্ধার করেছে। পুলিশের দাবি, ধৃতেরা জেরায় তাদের জানিয়েছে, কলকাতার মানিকতলা এলাকার বাসিন্দা এক ব্যবসায়ী ওই তার চুরি চক্রের মূল পাণ্ডা। ঢেঁকশিলা গ্রামের গুদাম থেকে তার চুরি করার পরে দু’টি লরিতে তার বোঝাই করা হয়। ইতিমধ্যেই এক লরি তার কলকাতায় পাচার করা হয়েছে। পুলিশের আরও দাবি, দ্বিতীয় লরিটির তার আদ্রার এক বাসিন্দার গাড়িতে করে ওই দুষ্কৃতীরা পাচার করছিল। গাড়ির মালিককেও ধরা হয়েছে।
|
রাস্তা তৈরিতে নিম্মমানের কাঁচামাল ব্যবহার করার অভিযোগ উঠল। বোরোর বড়কদম পঞ্চায়েতের আঁকরো গ্রামের রাস্তা তৈরি করা নিয়ে এই অভিযোগে বাসিন্দারা সম্প্রতি বোরো-বান্দোয়ান রাস্তা অবরোধ করেন। পরে পুলিশ ও বিডিও-র হস্তক্ষেপে ঘণ্টাতিনেক পরে অবরোধ ওঠে। বাসিন্দা কিঙ্কর মাহাতো, সুনীল দাসরা জানান, পাথর ও মোরাম দিয়ে রাস্তাটি সংস্কারের কাজ হচ্ছিল। এ জন্য বেশ কয়েক লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। পঞ্চায়েতই এই কাজের দায়িত্বে রয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, “রাস্তায় যে পরিমাণ পাথর ও মোরাম দেওয়ার কথা, কার্যক্ষেত্রে তার থেকে কম পরিমাণে মাল ফেলা হচ্ছে। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই ওই রাস্তা বেহাল হয়ে পড়েছে। কাদা মাড়িয়েই আমাদের যাতায়াত করতে হচ্ছে। দুর্ভোগ কমেনি।” বড়কদম পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধান মুরুলি ওমের দাবি, “অভিযোগ ঠিক নয়। কিছু বাসিন্দা বাড়ির কাছে গর্ত করে রাখায় তা ভরাট করতে বেশি পাথর লেগেছে। তবু বাসিন্দাদের দাবি মেনে রাস্তা সংস্কার করা হবে।”
|
মানসিক প্রতিবন্ধী এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে পড়শি যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। রঘুনাথপুর থানা এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম সুনীল বাউরি। শনিবার রাতে তাকে বাড়ি থেকে ধরা হয়। রবিবার তাকে রঘুনাথপুর আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ওই তরুণীর মায়ের অভিযোগ, শুক্রবার দুপুরে তিনি ও তাঁর স্বামী মাঠে চাষের কাজে গিয়েছিলেন। মেয়ে বাড়িতে একা ছিলেন। বিকেলে তিনি জমি থেকে বাড়ি ফিরে এসে দেখেন, ওই যুবক তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করছে। তিনি চিৎকার করলে যুবকটি তাঁর মেয়েকে ছেড়ে দেয়। যাওয়ার আগে সে হুমকি দিয়ে যায়, ঘটনার কথা পুলিশকে জানালে খুন করবেন। ওই ভয়ে তরুণীর মা প্রথমে ঘটনার বিষয়ে কাউকে না জানালেও পরে পড়শিরা জানতে পারেন। তাঁদের নিয়েই তিনি শনিবার দুপুরে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানিয়েছে অভিযোগ পাওয়ার পরেই গ্রেফতার করা হয়েছে ওই যুবককে। এ দিন ওই তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়। তবে ধৃত যুবকের দাবি, তাঁকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে।
|
আড়াই বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল তারই পড়শি এক ৪৫ বছরের ব্যক্তির বিরুদ্ধে। কোতুলপুর থানা এলাকায় শনিবারের ঘটনা। রবিবার ওই শিশুর মা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, “শনিবার বিকেলে ওই পড়শি আমার মেয়েকে কোলে নিয়ে আদর করছিলেন। তিনি মেয়েকে নিয়ে গিয়েছিলেন। পরে মেয়েকে উঠোনে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। মেয়েকে কাঁদতে ও রক্ত দেখে পুরো বিষয়টি জানতে পারি। চিকিৎসা করানো হয়।” এ নিয়ে শনিবার রাতে গ্রামে সালিশি সভা ডাকা হয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। অভিযুক্ত অবশ্য ঘটনার পর থেকেই পলাতক। তদন্ত চলছে।
|
দু’টি পৃথক জায়গা থেকে দু’টি মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। রবিবার সকালে হুড়া থানা এলাকায় হুড়া ও পুখুরিয়া গ্রামের মাঝে, পুরুলিয়া-বাঁকুড়া জাতীয় সড়কের পাশে বন দফতরের একটি নার্সারির পিছনে পলাশ জঙ্গল থেকে এক ব্যক্তির (৪৫) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের পরিচয় পাওয়া যায়নি। অন্য দিকে, পুরুলিয়া মফস্সল থানার আইমণ্ডি গ্রামের অদূরে পলাশকানালি এলাকায় একটি খেতের পাশ থেকে শনিবার বিকেলে এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতের নাম গোপাল পাণ্ডে (৩৮)। ওই গ্রামেই তাঁর বাড়ি। তাঁর ভাই সুনীল পাণ্ডে বলেন, “দাদা ছাগল চরাতে বেরিয়েছিল। কী করে দাদা মারা গেল বুঝতে পারছি না।” |