যাতায়াত সহজ করতে মাস ছয়েক আগেই তৈরি করা হয়েছিল একটি মোরামের রাস্তা। দামোদরের ব্যারাজ থেকে জল ছাড়তে শুরু করায় ভেসে গিয়েছে সেটি। বিপাকে পড়েছেন বাঁকুড়ার বড়জোড়া পঞ্চায়েত এলাকার কয়েক হাজার বাসিন্দা। এখন নৌকাই যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। দ্রুত রাস্তা মেরামতির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। বড়জোড়া পঞ্চায়েত সূত্রে জানানো হয়েছে, জল নেমে গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দামোদরের ধারে বড়জোড়া পঞ্চায়েতের অধিকাংশ এলাকাই বাঁকুড়ার দিকে। কিন্তু ওই পঞ্চায়েতের সাহাপাড়া, ঢাকাপাড়া, বরিশালপাড়া, চকবাজার, পল্লিশ্রী কলোনি, বিহারীপাড়া, উঁচু মানা, ছোট মানা প্রভৃতি গ্রাম দামোদরের অন্য পাড়ে, দুর্গাপুরের দিকে। শুক্রবার ডিভিসি ব্যারাজ থেকে ৮৫ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া শুরু হতেই জলের তোড়ে ভেসে যায় দুর্গাপুরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তাটি। |
বড়জোড়া পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস ছয়েক আগে একশো দিনের কাজ প্রকল্পে প্রায় ৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা ব্যয়ে রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়। রাস্তার এক দিকে বড়িশালপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়। অন্য দিকে পল্লিশ্রী কলোনি। এলাকার পড়ুয়াদের একমাত্র ভরসা বিদ্যালয়টি। কিন্তু রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় পড়ুয়ারা স্কুলেও যেতে পারছে না। তাছাড়া নিত্য প্রয়োজনে এলাকার বাসিন্দাদের দুর্গাপুর শহরে যেতে হয়। বিপাকে পড়েছেন তাঁরাও। ছোট মানার প্রবীণ বাসিন্দা জগদীশ মণ্ডল, পল্লিশ্রী কলোনির মধুসূদন সরকারের কথায়, “রাস্তাটি ভেঙে চরম দুভোর্গ পোহাতে হচ্ছে আমাদের।” বড়জোড়া কলেজের বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র বড় মানার বাসিন্দা সঞ্জয় কীর্তনিয়া বলেন, “রাস্তা ভেসে যাওয়ায় আপাতত কলেজ যাওয়া শিকেয় উঠেছে।” ছোট মানার বাসিন্দা সব্জি ব্যবসায়ী প্রদীপ কীর্তনীয়া দাবি করেন, রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ায় তাঁদের এক দিন আগে নৌকা করে সব্জি প্রধান রাস্তার ধারে রেখে আসতে হচ্ছে। ফলে খরচ বেড়ে যাচ্ছে।
নৌকাচালক শ্রীফল সরকার বলেন, ‘‘নৌকা করে বাসিন্দাদের গন্তব্যে পৌঁছে দিচ্ছি। আমার রোজগারও হচ্ছে।” বড়জোড়া পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকাটি নিচু। প্রতি বছর ব্যারাজে জল ছাড়লেই এলাকাটি প্লাবিত হয়। সমস্যা মেটাতে ওই রাস্তাটি মাটি দিয়ে উঁচু করে মাস কয়েক আগে নির্মাণ করা হয়েছিল। তাও রাস্তাটি ভেঙে গেল। জল নামলে রাস্তাটি মেরামতির ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে তারা। |