লক্ষ্মণের সরে দাঁড়ানোর চব্বিশ ঘণ্টাও কাটল না, তাঁর আরও স্বীকৃতি পাওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করলেন নির্বাচকদের চেয়ারম্যান কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত। “লক্ষ্মণ হল সর্বকালের সেরা ক্রিকেটারদের একজন। ভারতের হয়ে বহু ম্যাচ জিতিয়েছে। হেরে যাওয়া অবস্থা থেকে ম্যাচ জিতিয়ে ফেরা আছে। এর জন্য আরও বেশি স্বীকৃতি ওর প্রাপ্য ছিল, এতে কোনও সন্দেহ নেই,” বক্তব্য শ্রীকান্তের। আবার নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক রস টেলর মনে করছেন, লক্ষ্মণ বা দ্রাবিড়ের বিকল্প হয় না।
প্রথম টেস্ট শুরুর ঠিক চার দিন আগে লক্ষ্মণের হঠাৎ নেওয়া অবসর স্তম্ভিত করে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ককে। টেলর বলেছেন, “দ্রাবিড় আর লক্ষ্মণের অবসরের জন্য দু’জন তরুণ ভারতীয় দলে সুযোগ পাবে। কিন্তু কখনওই এদের বিকল্প হয় না। এই দু’জন হল সর্বকালের সেরাদের অন্যতম।” একই ধরনের মন্তব্য আর এক ক্রিকেটার ব্রেন্ডন ম্যাকালামের। “এটা ঠিক, দু’মাস আগে আমরা দ্রাবিড় আর লক্ষ্মণের জন্য প্ল্যানিং করেছিলাম। কিন্তু সেই প্ল্যানিং এখন আর কাজে লাগবে না। কোনও সন্দেহ নেই, দ্রাবিড় আর লক্ষ্মণের শূন্যস্থান সহজে ভরাট করা যাবে না,” বলেছেন ম্যাকালাম। সঙ্গে যোগ করেছেন, “ভারতীয় ক্রিকেটে হয়তো নতুন মুখ দু’জন আসবে। কিন্তু তাদেরও তৈরি হতে সময় লাগবে।”
শ্রীকান্ত মনে করিয়ে দিচ্ছেন, শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডে লক্ষ্মণ কী ভাবে খেলেছেন। “রেকর্ড বই খুললেই স্মরণীয় সব ম্যাচ জেতানো পাওয়া যায়। আমি ওর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা করি এবং জীবনে ওকে শুভেচ্ছা জানাই।” লক্ষ্মণকে ‘ভদ্রলোক ক্রিকেটারদের মধ্যে সেরা’ হিসেবে অভিহিত করছেন শ্রীকান্ত। একই সঙ্গে জানাচ্ছেন, দৃঢ়চেতা মানুষ হিসেবে তিনি অনন্য। “লক্ষ্মণের মতো চরিত্র ভারতীয় ক্রিকেটে কমই পাওয়া যাবে,” বক্তব্য তাঁর। শুধু রস টেলর বা ম্যাকালাম নন, নিউজিল্যান্ড টিমের বাকি সদস্যরাও লক্ষ্মণ বন্দনায় ব্যস্ত। মার্টিন গুপ্টিল যেমন। বলছেন, “দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছে লক্ষ্মণ, প্রচুর রান করেছে। ওর শূন্যস্থান ভরাট করা সহজ হবে না।” দ্রাবিড় ও লক্ষ্মণ ছাড়া দীর্ঘদিন পরে কোনও টেস্ট ম্যাচে নামবে ভারত। আর টিমের অনভিজ্ঞতাকেই কাজে লাগাতে চাইছে নিউজিল্যান্ড। অন্যতম পেসার টিম সাউথিও বলছেন, “বিশ্বমানের সেরা দুই ক্রিকেটার ছাড়া বহুদিন পরে কোনও টেস্টে নামতে হচ্ছে ভারতকে। এই যে ফাঁকটা তৈরি হয়েছে, সেটা ভরাট করা সহজ হবে না। সেটাকেই কাজে লাগানোর চেষ্টা করব আমরা।” |