|
|
|
|
শিলচর ধর্ষণকাণ্ডে ধৃত আরও ৩ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
শিলচরে কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণ কাণ্ডে আরও তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত লাতুমিয়াঁ লস্কর, সেবুল আহমেদ গাজি এবং পুতুল আহমেদ লস্কর তিন জনেরই বাড়ি উধারবন্দ থানার লাঠিগ্রামে। তাদের আজ আদালতে তোলা হলে চার দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়্। এই ঘটনায় এ পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মুখ্য অভিযুক্ত আইনজীবী দিব্যেন্দুজ্যোতি করও এখন পুলিশ হেফাজতে।
এজাহারে চার জনের কথাই উল্লেখ ছিল বলে জানিয়ে কাছাড়ের পুলিশ সুপার দিগন্ত বরা দাবি করেন, দোষীদের সকলকেই দ্রুত গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন তাঁরা। তদন্ত কার্যত শেষ । পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদে নতুন কোনও তথ্য বেরিয়ে না-এলে বা অন্য কোনও জটিলতা দেখা না-দিলে এবার দ্রুত চার্জশিট দেওয়া হবে। দিগন্তবাবু এর বেশি মুখ খুলতে না-চাইলেও পুলিশেরই অন্য এক সূত্রে জানা গিয়েছে, ধর্ষিতা এখনও দিব্যেন্দুজ্যোতি করকেই মুখ্য অভিযুক্ত বলছে। তার অভিযোগ, লাঠিগ্রামের ধৃতরা তারই পরিচিত। পরিকল্পিত ভাবে তাকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করা হয়েছে।
এ দিকে, ধর্ষিতা ছাত্রীটির শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় তাকে কাল কড়া নিরাপত্তায় শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্য দিকে গুয়াহাটির সংবাদদাতা জানান, জুলাই মাসে গুয়াহাটির খ্রিষ্টান বস্তি এলাকায় প্রকাশ্য রাস্তায় এক তরুণীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় শেষ অভিযুক্ত সিকন্দর লস্কর পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করল। তাঁকে পুলিশ হাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। ৯ জুলাই ওই ঘটনায় ১৭ জনকে চিহ্নিত করেছিল পুলিশ। ১৬ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ১৫ জন জেল হাজতে আছে। সাংবাদিক গৌরবজ্যোতি নেওগকে জামিন দেওয়া হয়েছে। |
|
|
|
|
|