|
|
|
|
অনিশ্চয়তার মধ্যেই ফের চালু কাছাড় কাগজ কল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
কয়লার অভাবে ১৩ দিন বন্ধ থাকার পর ফের চালু হল কাছাড় পেপার মিল। তবে তিনটি বয়লারের মধ্যে শুক্রবার থেকে মাত্র একটি বয়লার চালানো হচ্ছে। এ দিয়েই শুরু হচ্ছে কস্টিক ও ক্লোরিন উৎপাদন। দু’দিনে উপযুক্ত মজুত গড়ে উঠলে চালু হবে রিকভারি প্ল্যান্ট ও পাওয়ার জেনারেশন প্ল্যান্ট। তার পরই শুরু হবে কাগজ উৎপাদন। মিলের এক সূত্র জানিয়েছেন, পুরো মাত্রায় কাজ চলতে আরও দু’দিন লাগবে।
তবে কয়লা সরবরাহ স্বাভাবিক না হওয়ায় মিল চালু হওয়ার পরও অনিশ্চয়তা থেকে যাচ্ছে। কারণ, ১৩ দিন বন্ধ রেখে মাত্র ১৬০০ টন কয়লার মজুত গড়ে তোলা গিয়েছে। এ ছাড়া, এখন প্রতিদিন মিলে ঢুকছে গড়ে তিনশো টন। অথচ মিলে দৈনিক কয়লার প্রয়োজন ৬০০ থেকে ৭০০ টন। ফলে সাত দিনে ফের মজুত ভাণ্ডার তলানিতে ঠেকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কেন এই কয়লা সঙ্কট? এ নিয়ে কর্তৃপক্ষ ও সরবরাহকারীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দীর্ঘ দিনের। সরবরাহকারীদের বক্তব্য, মিলের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দীর্ঘ দিন বকেয়া পড়ে থাকে। কিন্তু তারা মেঘালয় থেকে কয়লা সংগ্রহ বা গাড়িভাড়া কোনও কিছুতেই এক টাকাও বাকি পান না। এর মধ্যে আবার কয়লার গুণমান নিয়ে প্রশ্ন তুলেও ফিরিয়ে দেওয়া হয় বহু ট্রাক, যা পুরোটাই তাদের লোকসান।
কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ভাল কয়লায় প্রতিদিন ৩০০ টন কাগজ উৎপাদনে ৫৬৬ টন কয়লার প্রয়োজন। বাজে কয়লা হলে একই পরিমাণ তাপ উৎপাদনে কয়লা লাগে ৮৪০ টন। কর্তৃপক্ষ সতর্ক না থাকলে কয়লা কিনতে গিয়েই দৈনিক ২০ লক্ষ টাকা বেশি লাগতে পারে। কিন্তু কয়লা দেখে রাখতে গেলেই তাদের যত ওজর-আপত্তি। সরবরাহ কমিয়ে দিয়ে ভাল-খারাপ সব রকমের কয়লা নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এর দরুন গত ক’মাস কয়লা-সঙ্কটে ভুগছে কাছাড় পেপার মিল। পরিসংখ্যান দিয়ে সূত্রটি জানান, মে-তে ৫৯৩ ট্রাকে ৮৩ ট্রাক কয়লা ফিরিয়ে দিতে হয়। জুনে ৫৪৯-এ ৩৮ এবং জুলাইয়ে ৪২৯ ট্রাকে ৭৯ ট্রাক ছিল বাজে কয়লা। সে সব ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের সোজা কথা, কোনও চাপের কাছে এখন আর মাথা নত করবেন না। গুণমান নিয়ে আপস নয়।
কিন্তু এ ভাবে মিল বন্ধ রেখে বা দৈনিক ৮০-৯০ টন উৎপাদন করে কি মিল বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব? কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, বিষয়টি তাঁদেরও ভাবাচ্ছে। |
|
|
|
|
|