|
|
|
|
মা-বাবার অত্যাচারে শিশুমৃত্যুর অভিযোগ |
সংবাদসংস্থা • মুম্বই |
মাত্র মাস পাঁচেক আগেই নজরে এসেছিল ফলকের ঘটনা। এইমসে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় দু’বছরের ওই শিশুকন্যাকে ফেলে রেখে গিয়েছিল এক কিশোরী। কয়েক দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরই মারা যায় ফলক। এ বার মুম্বইয়ে এমনই এক ঘটনার কথা জানা গেল। অভিযোগ, মা-বাবার অত্যাচারেই মৃত্যু হয়েছে বছর দু’য়েকের শিশুকন্যাটির। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, ময়নাতদন্ত রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, শিশুটির দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রয়েছে পোড়ার দাগও। এ ছাড়াও গোটা দেহে একাধিক ক্ষত এবং আঘাতের কারণে ফুলে যাওয়ার কথাও বলা হয়েছে ওই রিপোর্টে।
পুলিশ সূত্রে খবর, অগস্ট মাসের গোড়ার দিকে অজানা কোনও নম্বর থেকে পুলিশের কাছে একটি ফোন আসে। পুলিশ গিয়ে দেখে, একটি শিশুকন্যাকে কবর দেওয়ার তোড়জোড় চলছে। এর পরই শিশুটির দেহ ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, বছর খানেক আগে থেকেই তানিজ নামের ওই শিশুকন্যার উপর অত্যাচার চালাচ্ছিল তার বাড়ির লোক। দু’বছরের ওই শিশুকন্যা তনিজকে তার মা জিনত গত বছর মার্চ মাসে প্রথম বার হাসপাতালে নিয়ে আসেন। জিনত তখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন, তনিজ খাট থেকে পড়ে গিয়েছে। ক’দিন ধরে কিছু খাচ্ছে না। কিন্তু যে শিশু বিশেষজ্ঞ তনিজকে পরীক্ষা করেন, তিনি দেখেন শিশুটির দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, যা কেবল খাট থেকে পড়ে গেলে হয় না।
এর পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিয়েছিলেন। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ পরীক্ষানিরীক্ষার পর সে সময় জানিয়েছিলেন, শিশুটিকে মারাত্মক ভাবে মারধর করা হয়েছে। তারাই জানিয়ে দেয়, শিশুটির মা খাট থেকে পড়ে যাওয়ার যে ঘটনার কথা বলছেন, তা বিশ্বাসযোগ্য নয়।
এর কিছু দিন পরে জিনত ফের হাসপাতালে আসেন। চিকিৎসকেরা তখন খেয়াল করেন, শিশুটির দেহে ফের নতুন করে কিছু ক্ষতের দাগ রয়েছে। এর কয়েক মাস পরে আবার শিশুটিকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।
তখনই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দিয়ে জিনতের বক্তব্য নথিবদ্ধ করে রাখার কথা বলেন। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, আরও কিছু রিপোর্ট পাওয়ার পরই তদন্তে গতি আসবে। |
|
|
|
|
|