এক গাড়িচালককে গ্রেফতার করে জানা গিয়েছিল, তাঁর ড্রাইভিং লাইসেন্স জাল। তাঁকে জেরা করেই জালিয়াত চক্রের আড্ডায় পৌঁছে গেল পুলিশ। চক্রের আস্তানাটি আদতে এক ব্যক্তির বাড়ি। রবিবার বিকেলে সেই বাড়িতে হানা দিয়ে পাওয়া গেল ৮০টি জাল লাইসেন্স। গ্রেফতার করা হল চক্রের পাণ্ডা বলে অভিযুক্ত গৃহকর্তাকে।
পুলিশ জানায়, ধৃত চাঁইয়ের নাম পটল সরকার। বছর আটত্রিশের পটল বিমানবন্দর থানার নেতাজিনগরে নারকেলবাগান এলাকায় নিজের বাড়িতেই জাল ড্রাইভিং লাইসেন্সের রমরমা ব্যবসা চালাচ্ছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। কী ভাবে হদিস মিলল পটলের? পুলিশি সূত্রের খবর, কয়েক দিন বিমানবন্দরের বাইরে সাদা পোশাকে অভিযান চালাচ্ছিল বিমানবন্দর থানার পুলিশ। রবিবারেও বিধাননগরের অতিরিক্ত কমিশনার সন্তোষ নিম্বলকর, সহকারী কমিশনার অনীশ সরকার এবং বিমানবন্দর থানার ওসি সুকুমার নন্দীর নেতৃত্বে তল্লাশি অভিযান চলছিল। বিমানবন্দরের বাইরে সাধারণ হলুদ ট্যাক্সি ছাড়াও থাকে সাদা গাড়ি। অভিযোগ, ওই সব গাড়ির চালকেরা যাত্রীদের কাছ থেকে চড়া ভাড়া দাবি করছেন। এ দিনের অভিযানে দেখা যায়, সেই ধরনেরই একটি গাড়ির চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্সটি জাল। তফাজ্জেল হক নামে ওই যুবক গাড়িচালকের বাড়ি বিমানবন্দর থানার ছোটগাঁতিতে। তফাজ্জেলকে গ্রেফতার করে জেরায় পুলিশ জানতে পারে, ১৫০০ টাকার বিনিময়ে পটলের কাছ থেকে জাল লাইসেন্স কিনেছিলেন তিনি। তাঁর কাছ থেকে পটলের ঠিকানা নিয়ে সেখানে হানা দেয় পুলিশ। উদ্ধার হয় ৮০টি জাল লাইসেন্স, মোটরযান দফতরের জাল স্ট্যাম্প, অনেকের ছবি, প্যান কার্ড। পুলিশের অনুমান, বড় জাল লাইসেন্স চক্রের সঙ্গে যুক্ত পটল। তাঁর সঙ্গে মোটরযান বিভাগের কর্মীদের যোগ আছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আজ, সোমবার পটল ও তফাজ্জেলকে আদালতে তোলা হবে। |