নাবালিকা পরিচারিকাকে খুন্তির ছেঁকা দেওয়ায় ঘটনায় অভিযুক্ত গৃহবধু কৃষ্ণা সাহাকে আদালতে পেশ করল পুলিশ। শনিবার আলিপুরদুয়ার মহকুমা আদালতের বিচারক নন্দদুলাল কালাপাহাড় এরিনিতাকে তার বাবার হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন। ওই গৃহবধুর জামিনের আবেদনও মঞ্জুর করেন বিচারক। শুক্রবার সকালে বাড়ির বাইরের কল থেকে জল আনতে দেরি করায় কৃষ্ণা দেবী পরিচারিকার হাতে গরম খুন্তির ছেঁকা দেন বলে অভিযোগ। এরিনিতার চিৎকারে শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা ছুটে যান। তাঁরাই ওই নাবালিকাকে হাসপাতাল নিয়ে যান। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। রাতে পুলিশ কৃষ্ণা দেবীকে গ্রেফতার করে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪২, ৩২৫ এবং শিশু শ্রমিক আইনের ১৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই চুনিয়াঝোরা চা বাগান থেকে আলিপুরদুয়ারে যান এরিনিতার বাবা সুখরাম মুন্ডা। এরিনিতারা চার ভাইবোন। দাদা দিনমজুরির কাজে দিল্লিতে রয়েছে। কয়েক বছর আগে এরিনিতার মা মারা গিয়েছেন। বাড়িতে এরিনিতার দুটি ছোট বোন রয়েছে। মাসিক ৫০০ টাকার চুক্তিতে কৃষ্ণা দেবী বছর দুয়েক আগে এরিনিতাকে নিয়ে আসেন। সুখরামবাবুর অভিযোগ, তিনি এখনও একটি টাকাও কৃষ্ণা দেবীর পরিবারের কাছ থেকে পাননি। তিনি বলেন, “টাকাও দেয়নি। মেয়েকে মারধর করা হচ্ছে। এ বার মেয়েকে বাড়িতেই নিয়ে যাব।” বাবার কথায় সায় দেয় এরিনিতাও। সে বলেন, “আমি আর ওই বাড়িতে কাজ করতে চাই না। বাবার সঙ্গে বাড়িতে ফিরে যাব।” কৃষ্ণা দেবীর শাশুড়ি মমতা দেবীও এদিন দাবি করেন, “ছোট ঘটনাকে বড় করে দেখানো হচ্ছে। বউমা মেয়েটিকে বকাঝকা করার সময়ে গরম খুন্তি লেগে যায়।” |