উত্তরবঙ্গ জুড়ে প্রায় শনিবার সকালে প্রায় আড়াই ঘন্টা বিএসএনএল পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন গ্রাহকেরা। এ দিন বেলা ১০টার পর শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, দুই দিনাজপুর, মালদহ এবং কোচবিহারের বিএসএনএলের মোবাইল, ল্যান্ডলাইন ও ব্রডব্যান্ড পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। সমস্যায় পড়েন বেশ কিছু সরকারি, বেসরকারি অফিস এবং ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা। বিএসএনএলের শিলিগুড়ির জেনারেল ম্যানেজার অনুময় ডাকুয়া বলেন, “যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে পরিষেবা স্বাভাবিক করা হয়।”
জলপাইগুড়ির বিএসএনএল গ্রাহকদের অভিযোগ, শুধু টেলিফোন নয়, মোবাইলের এসএমএস পরিষেবা পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ব্রডব্যান্ড পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন ব্যাঙ্কে সাময়িক ভাবে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এটিএম পরিষেবাও ব্যাহত হয়।
সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ির একাংশ ফাইবার অপটিক্যাল কেবলের মাধ্যমে শিলিগুড়ি এক্সচেঞ্জের সঙ্গে যুক্ত। সে জন্য শিলিগুড়ি এক্সচেঞ্জে যান্ত্রিক ক্রুটির প্রভাব পড়ে। জলপাইগুড়ির পাশাপাশি ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়ি, ফালাকাটা, মালবাজারের পরিষেবা ব্যাহত হয়। সংস্থার জলপাইগুড়ির মহকুমা আধিকারিক টোটন ঘোষ বলেন, “যান্ত্রিক ক্রুটির জন্য পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে। বেলা ১টা নাগাদ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে।” সংস্থার উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় জেনারেল ম্যানেজার সন্দীপ ঘোষ বলেন, “শিলিগুড়ি এক্সচেঞ্জের পাওয়ার ডিষ্ট্রিবিউশন প্ল্যান্টের যান্ত্রিক ত্রুটি হওয়ায় লিঙ্ক সরবরাহ বন্ধ থাকে।”
এ দিন মালদহের ২০ হাজারেরও বেশি গ্রাহক চরম দুর্ভোগে পড়েন। মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু বলেন, “মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড পরিষেবা সকাল থেকে বসে যাওয়ায় কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। ব্যবসায় লোকসান হয়েছে।” বিএসএনএল মোবাইল পরিষেবা অকেজো ছিল উত্তর দিনাজপুরেও। জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিএসএনএলের ৭৫টি টাওয়ার কাজ করছিল না। প্রায় তিন ঘন্টা বিএসএনএলের পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায় প্রশাসনিক কাজকর্ম পরিচালনা করতে গিয়ে বিপাকে পড়ে জেলা প্রশাসন।
উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক পাসাং নরবু ভুটিয়া বলেন, “করণদিঘি ব্লকে একটি প্রশাসনিক বৈঠক ছিল। আচমকা বিএসএনএল মোবাইল পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায় প্রায় তিনঘন্টা প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। এ ছাড়াও জেলা প্রশাসনের অনেক কর্তাই নানা সরকারি কাজে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি।” রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের সুপার অরবিন্দ তান্ত্রি বলেন, “বিএসএনএল মোবাইল পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কয়েক ঘন্টা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি।” |