মাটি কেনা নিয়ে ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে’র জেরে এক দলীয় কর্মীকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল ভাঙড়ের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক আরাবুল ইসলামের তিন অনুগামীর বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাশীপুরের স্বরূপনগরের বাসিন্দা আইজুল বৈদ্য (৩৫) নামে ওই তৃণমূল কর্মীকে নতুনহাট এলাকায় বেধড়ক মারধর করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাঁকে স্থানীয় নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে স্থানান্তরিত করানো হয় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। বিকেলে সেখানেই তিনি মারা যান। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন আরাবুল।
ভাঙড়ের তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ জানিয়েছেন, নতুনহাট এলাকার কয়েকটি জায়গা থেকে মাটি কেটে রাজারহাট-নিউ টাউন এলাকায় সরবরাহ করার কাজ করে দলেরই একাধিক গোষ্ঠী। তার মধ্যে যেমন আরাবুল অনুগামীরা রয়েছেন, তেমনই রয়েছেন আরাবুলের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর এক নেতার অনুগামী আইজুলরাও। নিহতের পরিবারের লোকজনের দাবি, মাটি কেনার জন্য ৮ মাস আগে আরাবুল অনুগামী মিয়াজানকে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা অগ্রিম দেন আইজুল। কিন্তু সেই টাকা বা মাটি তিনি পাননি। তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিবাদ চলছিলই।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন সকালে পোলেরহাট-২ নম্বর পঞ্চায়েত অফিসের সামনে মিয়াজান ও তাঁর কয়েক জন সঙ্গীর মুখোমুখি হন আইজুল। তিনি টাকা চাইতেই তাঁকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারা হয় বলে অভিযোগ। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে নার্সিংহোমে নিয়ে যান। নিহতের ভাই এসরাত বৈদ্যের অভিযোগ, “টাকা চাওয়ার জন্যই দাদাকে পিটিয়ে খুন করল আরাবুলের লোকেরা।” যদিও এ ব্যাপারে সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।
আরাবুল অবশ্য তাঁর অনুগামীদের মাটি কাটার কাজে যুক্ত থাকার কথা মানতে চাননি। আইজুলকে দলীয় কর্মী হিসেবেও স্বীকার করেননি। তাঁর দাবি, “এক জনকে পিটিয়ে মারা হয়েছে শুনেছি। কিন্তু আমাদের কেউ এতে যুক্ত নন।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশকে বলেছি, খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে।” জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত শুরু হবে।” |