অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের সই ও লেটার হেড নকল করে ফুটবল টুর্নামেন্টের জন্য অর্থ সংগ্রহ করা হচ্ছিল। রহড়ার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার বিরুদ্ধে খড়দহ থানায় শুক্রবার রাতে এই অভিযোগ দায়ের করেছেন মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক। পুলিশ জানায়, রহড়ার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ক্যানসার আক্রান্তদের সাহায্যের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করে। গত বছর স্থানীয় সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সৌগত রায়ের থেকে একটি শুভেচ্ছা বার্তাও নিয়ে আসেন সে জন্য। তা দেখিয়ে খড়দহ বিধানসভার বিধায়ক তথা রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের কাছ থেকেও একটি শুভেচ্ছাবার্তা সংগ্রহ করে ওই সংস্থা। পুলিশ সূত্রের খবর, অমিতবাবুর লেটার হেড ও সই নকল করে ওই ফুটবল টুর্নামেন্টে অর্থ সাহায্যের জন্য একটি আবেদনপত্র তৈরি করা হয়েছিল। বিভিন্ন জায়গায় তা দেখিয়ে টাকা তোলার চেষ্টা চলছিল। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জেনেছে, ফুটবল টুর্নামেন্টের অর্থ সংগ্রহের জন্য তাঁরা একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করেছিল। ওই সংস্থাকেই সৌগত রায় ও অমিত মিত্রের শুভেচ্ছাবার্তা দু’টি দেওয়া হয়েছিল। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার (বেলঘরিয়া) বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, “ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা যাদের দায়িত্ব দিয়েছিল, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
|
এক ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগে তাঁর স্ত্রী-শ্যালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহতের ছেলেও এখন নিখোঁজ। পুলিশ জানায়, নিহতের নাম দিনু দেবনাথ (৪০)। পেশায় দিনমজুর। স্ত্রী ও ছেলের সঙ্গে নানা কারণে দিনুবাবুর খিটিমিটি বাধত বলে খবর। পারিবারিক অশান্তির জেরে ক’দিন আগেই তাঁকে গলা টিপে খুন করা হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। বাড়ির উঠোনের ধারেই দিনুবাবুর দেহ মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল। শনিবার সকালে সোনারপুর থানার কামরাবাদ এলাকায় মাটি খুঁড়ে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের স্ত্রী মামণি দেবনাথ ও শ্যালক কাশীনাথ কয়ালকে এ দিন সকালেই পুলিশ ধরে। কাশীনাথবাবু তাঁর বোন ও ভগ্নীপতির পাশের বাড়িতেই থাকেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার এসপি প্রবীণ ত্রিপাঠী বলেন, “নিহতের ১৯ বছরের ছেলে অজয় দেবনাথকেও সন্দেহের উর্ধ্বে রাখছি না। তার খোঁজ চলছে।” কয়েকদিন ধরেই দিনুবাবু নিখোঁজ ছিলেন। এ দিন তাঁর প্রতিবেশীরা ও বোন দেখেন বাড়ির উঠোনের একাংশে মাটি চাপা দেওয়া, দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে। মৃতের বোন অসীমা ঘোষালের কথায়, “দু’দিন ধরে দাদাকে মোবাইল ফোনে যোগাযাগ করার চেষ্টা করেছি। লাইন পাইনি।” এ দিন সকালে দাদার বাড়ি এসে উঠোনের কোণটা দেখেই সন্দেহ হয় অসীমার। তার পরেই পুলিশের সাহায্যে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
|
বন্ধুকে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল এক যুবকের। শনিবার চুঁচুড়া আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক ফার্স্ট কোর্টের বিচারক শ্যামলকুমার বিশ্বাস বাঁশবেড়িয়ার খামারপাড়ার বাসিন্দা শেখর মুখোপাধ্যায়কে ওই সাজা শোনান। পুলিশ জানায়, ২০০৬-এ সালে শেখর তার প্রতিবেশী ও বন্ধু রবীন প্রসাদের সঙ্গে বরফকল করার পরিকল্পনা করে। তার জন্য রবীনের থেকে শেখর ১৫ হাজার টাকা ধার নেয়। কিন্তু তা শোধ করেনি। ৬ সেপ্টেম্বর রাতে রবীন শেখরের বাড়ি গিয়ে টাকা ফেরত চায়। কিন্তু শেখর বাড়ির সামনেই তাঁকে রড দিয়ে মারে। এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করানো হলেও ১৭ সেপ্টেম্বর রবীন মারা যান। পরের দিনই শেখরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার বিচারক শেখরকে দোষী সাব্যস্ত করেন। মামলার সরকারি আইনজীবী কালীপ্রসাদ সিংহরায় বলেন, “বন্ধুকে খুনের দায়ে ওই যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
|
বাবার সঙ্গে গঙ্গায় মনসা পুজোর ঘট ভাসাতে গিয়ে তলিয়ে গেল ন’বছরের এক বালক। শনিবার সকালে শ্যামনগরের রত্নেশ্বর ঘাটে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যা পর্যন্ত গঙ্গায় তল্লাশি চালিয়েও তানিশ বাগল নামে নোয়াপাড়ার আমবাগান এলাকার বাসিন্দা ওই বালকের খোঁজ মেলেনি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ বাবা অপু বাগলের সঙ্গে ওই ঘাটে যায় তানিশ। ঘাটের শেষ ধাপে দাঁড়িয়ে গঙ্গায় নামার জন্য বাবার কাছে আব্দার জুড়েছিল সে। অপুবাবু ছেলের আব্দার মানতে চাননি। শাসন করার জন্য অপুবাবু ছেলেকে একটি চড় মারেন। টাল সামলাতে না পেরে তানিশ জলে পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গেই ছেলেকে বাঁচানোর জন্য অপুবাবু গঙ্গায় ঝাঁপ দেন। কিন্তু ছেলেকে খুঁজে পাননি। স্নানার্থীরা এর পরে অপুবাবুকে জল থেকে উদ্ধার করেন। তাঁকে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
|
কোম্পানির তেল গন্তব্যে নিয়ে যাওয়ার পথে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে, এই অভিযোগে লরির মালিককে আটক করল খড়দহ থানার পুলিশ। শুক্রবার হলদিয়া থেকে শিলিগুড়ির উদ্দেশে একটি পাম তেল বোঝাই লরি রওনা দেয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে না পৌঁছানোয় সংশ্লিষ্ট তেল ও পরিবহন সংস্থা পুলিশে অভিযোগ করে। পুলিশ তদন্তে নেমে লরিটিকে খড়দহ থানা এলাকার জি টি রোডের ধারে পার্কিংয়ের জায়গায় দেখতে পায়। কিন্তু লরিতে তেল ছিল না। এরপরই সংস্থা দু’টির অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ লরির মালিককে আটক করে। চালক ও খালাসিকে পাওয়া যায়নি। পরিবহন সংস্থা ও তেল সংস্থার অভিযোগ, ওই চালক ও খালাসি তেল চুরি করে বিক্রির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। পুলিশ তাদের খোঁজ চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। |