|
|
|
|
শিলাদিত্যের জামিনের আবেদন, পাশে কংগ্রেস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বেলপাহাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় ‘বিশৃঙ্খলা’ সৃষ্টির অভিযোগে ধৃত শিলাদিত্য চৌধুরীর জামিনের আবেদন জানালেন তাঁর আইনজীবী তথা জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক চিরঞ্জীব ভৌমিক। শনিবার মেদিনীপুরের জেলা ও দায়রা বিচারক সমর রায়ের কাছে এই আবেদন জানানো হয়। তার শুনানি হওয়ার কথা আগামী ২৩ অগস্ট। এ দিনই জেল-হাজতে থাকা শিলাদিত্য চৌধুরীকে জেলে গিয়ে জেরা করার জন্য ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে আবেদন জানায় বেলপাহাড়ি থানার পুলিশ। আবেদন মঞ্জুর করে আদালত।
গত ৮ অগস্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় গিয়ে চেঁচিয়ে কিছু প্রশ্ন করেছিলেন শিলাদিত্য। তখনই মঞ্চ থেকে মমতা তাঁকে ‘মাওবাদী’ বলে চিহ্নিত করেন। সে দিন পুলিশ তাঁকে ধরলেও খানিক জেরার পরে ছেড়ে দেয়। দু’দিন পরে, ১০ অগস্ট বিনপুরের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আগেই ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালত তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করেছে। বর্তমানে ঝাড়গ্রাম উপ-সংশোধনাগারে রয়েছেন তিনি। রাজ্য মানবাধিকার কমিশন এই ঘটনার তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ দিন আদালতে আইনজীবী চিরঞ্জীববাবু দাবি করেন, শিলাদিত্য চৌধুরীকে অন্যায় ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, গ্রেফতারের সময়ে ‘অ্যারেস্ট মেমো’য় পরিবার বা গ্রামের পরিচিত কেউ সই করতে পারেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে জলধর পণ্ডা নামে এক স্থানীয় তৃণমূল কর্মীর সই রয়েছে, যিনি নিজেই পুরনো একটি খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত। আবেদন খতিয়ে দেখে বিচারক মামলার ‘কেস ডায়েরি’ তলব করেছেন। শুধু ‘আইনি সাহায্য’ দেওয়া নয়, রাজ্য সরকারে তৃণমূলের জোটশরিক কংগ্রেস প্রকাশ্যেই শিলাদিত্যকে সমর্থন করছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেস সভাপতি স্বপন দুবের বক্তব্য, “অন্যায় ভাবে ওকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অহেতুক কয়েকটি ধারা যুক্ত করে প্রতিবাদ স্তব্ধ করার চেষ্টা চলছে।” |
|
|
|
|
|