শিলদা-কাণ্ডে ইউএপিএ-তে অভিযুক্ত বিক্রম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
ধরা পড়া মাওবাদী-নেতা অর্ণব দাম ওরফে বিক্রমকে শনিবারই শিলদা-কাণ্ডে ইউএপিএ (বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন) মামলায় যুক্ত করা হল। এ দিনই অন্য একটি ইউএপিএ মামলায় আর এক মাও-নেতা রঞ্জন মুণ্ডাকে ১২ দিন পুলিশ-হেফাজতে পাঠাল আদালত। রঞ্জনের সহযোগী বাণেশ্বর মুর্মুকে ১৪ দিন জেল-হাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
২০১০-এর ১৫ ফ্রেব্রুয়ারি পশ্চিম মেদিনীপুরের শিলদায় ইএফআর ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছিল মাওবাদীরা। প্রাণ হারান ২৪ জন জওয়ান। ওই মামলায় সিআইডি-র দাখিল করা চার্জশিটে অভিযুক্ত হিসেবে বিক্রমের নাম রয়েছে। সিআইডি-র আবেদনের প্রেক্ষিতে এ দিন ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে বিক্রমকে ওই মামলায় যুক্ত করা হয়।
গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে শিলদা মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। |
|
বিক্রম ও রঞ্জন মুণ্ডা। শনিবার ঝাড়গ্রাম আদালতে। ছবি: দেবরাজ ঘোষ |
বিচার চলছে মেদিনীপুরের ষষ্ঠ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক শুভেন্দু সামন্তর এজলাসে। শিলদা-কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত মোট ১৯ জনকে ধরা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ-র ৬টি, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫টি এবং অস্ত্র আইনের ১টি ধারায় বিচার চলছে। পুরুলিয়া জেলা সংশোধনাগার থেকে এ দিন বিক্রমকে ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে হাজির করানো হয়। বিক্রমের আইনজীবী কৌশিক সিংহ ষষ্ঠ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারকের আদালতে তাঁর মক্কেলকে পাঠানোর আবেদন করেন। বিচারক প্রিয়জিৎ চট্টোপাধ্যায় বিক্রমকে ১০ দিনের জন্য জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ২৮ অগস্ট ফের ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে বিক্রমকে হাজির করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মাওবাদী-নেতা রঞ্জন মুণ্ডা ও তাঁর সহযোগী বাণেশ্বর মুর্মুকেও এ দিন ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে হাজির করানো হয়। রঞ্জন ও বাণেশ্বরের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারা প্রয়োগের জন্য ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে আবেদন জানিয়েছিল পুলিশ। শুক্রবারই ওই আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। রঞ্জন মুণ্ডার আইনজীবী তপন চৌধুরী এ দিন আদালতে অভিযোগ করেন, বক্তব্য পেশের সুযোগ না দিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একতরফা ভাবে ইউএপিএ ধারা সংযুক্ত করা হয়েছে। সরকারি কৌঁসুলি কণিষ্ক বসু অবশ্য বলেন, “গত ৩ অগস্ট গোপীবল্লভপুর থেকে রাইফেল, বন্দুক এবং বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি-সহ রঞ্জন ও তাঁর সঙ্গী ধরা পড়েন। আদালতের নির্দেশে তাঁদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জেরা করে গোপীবল্লভপুরের বড়শোল গ্রাম থেকে আরও বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।” তাঁর দাবি, “অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ মিলেছে। সঙ্গত কারণেই ইউএপিএ ধারা দেওয়া হয়েছে।” |
|