‘ইন্ডিয়া কাপ’ আন্তর্জাতিক টেবল টেনিস প্রতিযোগিতার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল শিলিগুড়িতে। আগামী ১০-১৪ অক্টোবর শিলিগুড়ি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ‘ইন্ডিয়া কাপ জুনিয়র ওয়ার্ল্ড সার্কিট’-এ গোটা দশেক দেশ যোগ দিতে চলেছে। উত্তরবঙ্গে এ ধরনের টেবল টেনিস প্রতিযোগিতা এ বারই প্রথম। তাই আয়োজনে খামতি রাখতে চাইছেন না উদ্যোক্তারা।
সম্প্রতি প্রতিযোগিতার প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব, নর্থ বেঙ্গল টেবল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা। সেই মতো সাজিয়ে তোলা হচ্ছে শিলিগুড়ি ইন্ডোর স্টেডিয়াম। প্রস্তুতিপর্ব খতিয়ে দেখতে আগামী ২৯ অগস্ট শিলিগুড়িতে আসছেন আন্তর্জাতিক স্তরের অ্যাম্পায়ার জি গণেশন এবং টিটিএফআই-এর সেক্রেটারি জেনারেল ধনরাজ চৌধুরী।
নর্থ বেঙ্গল টেবল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা জানান, দেশ-বিদেশের অন্তত ১৫০ জন টেবল টেনিস খেলোয়াড় অংশ নেবেন। কমিটির পক্ষে অর্জুন মান্তু ঘোষ বলেন, “ইতিমধ্যেই চাইনিজ তাইপে, থাইল্যান্ড, মালেশিয়া, হংকং, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কার মতো দেশগুলি যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। খেলা পরিচালনার কাজে আন্তর্জাতিক মানের অন্তত ৩০ জন অ্যাম্পায়ার আসবেন।” তাঁদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে শহরের বিভিন্ন হোটেলে। প্রতিযোগিতার জন্য প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা খরচ হবে।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর, রাজ্য ক্রীড়া দফতর আর্থিক সহায়তা করছে। নর্থ বেঙ্গল টেবল টেনিস সংস্থা শিলিগুড়িতে জুনিয়র জাতীয় প্রতিযোগিতার পর বড় ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজনে উৎসাহ প্রকাশ করে। উদ্যোগী হন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব। নর্থ বেঙ্গল টেবল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনকে শেষ পর্যন্ত প্রতিযোগিতা পরিচালনার দায়িত্ব দেয় টেবল টেনিস ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া। গৌতমবাবু বলেন, “শিলিগুড়িতে এ ধরনের আন্তর্জাতিক টেবল টেনিস প্রতিযোগিতা প্রথম হচ্ছে। আমরা আয়োজনের খামতি রাখতে চাই না। সেই মতো প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।”
খরচের সিংহভাগ অবশ্য খেলোয়াড়দের ‘এন্ট্রি ফি’ থেকে উঠে আসবে বলে উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন। প্রত্যেক প্রতিযোগীর প্রতিদিনের ‘এন্ট্রি ফি’ ৮০ ডলার। তা ছাড়া টেবল টেনিস ফেডারেশনের মাধ্যমে কেন্দ্র প্রতিযোগিতার জন্য ৬ লক্ষ টাকা অনুদান দিচ্ছে। ইন্ডোর স্টেডিয়ামে শৌচাগার, পোশাক বদলের জায়গার সুযোগ-সুবিধা উন্নত মানের করতে বলা হয়েছে টিটিএফআই-এর তরফে। ইন্ডোর স্টেডিয়ামের ওপরের ছাউনির একাংশ মেরামতের প্রয়োজন রয়েছে। সেই কাজও দ্রুত শুরু হবে।
উদ্যোক্তাদের পক্ষে জানানো হয়েছে, ৯টি ম্যাচ টেবল থাকবে প্রতিযোগিতার জন্য। এ ধরনের ম্যাচে অনুশীলনের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখা নিয়ম। তাই আরও অন্তত ৮টি টেবল থাকবে। এ দিকে, স্টেডিয়ামের কাঠের মেঝেয় সমস্ত টেবল পাতা সম্ভব হবে না। তাই কিছু অংশে সিন্থেটিক ফ্লোর পেতে জায়গা বড় করা হবে। খেলোয়াড়দের বসার জন্য আলাদা বক্স থাকছে। অ্যাম্পায়ার, অফিস কর্মীদের জন্যও থাকবে আলাদা বসার জায়গা। প্রতিযোগিতা শুরুর আগে ইন্টারন্যাশনাল টেবল টেনিস ফেডারেশনের উদ্যোগে বিভিন্ন দেশের খেয়োলাড়দের নিয়ে তিন দিনের প্রশিক্ষণ শিবির হবে। |