সরকারের সিদ্ধান্ত ছিল, কোনও ব্যক্তি একটি এসএমএস একসঙ্গে পাঁচজনের বেশি কাউকে পাঠাতে পারবেন না। কিন্তু অনেকেই অভিযোগ তুলছেন, সারা দিনে পাঁচটার বেশি এসএমএস পাঠাতে গেলে সমস্যা হচ্ছে। টেলিকম মন্ত্রকের অবশ্য বক্তব্য, গত কাল যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, সেখানে একসঙ্গে পাঁচটি এসএমএস পাঠানোর উপরেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মোবাইল সংস্থাগুলিকে পাঠানো নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘গোটা দেশে আগামী ১৫ দিনের জন্য গুচ্ছ এসএমএস (পাঁচটির বেশি) পাঠানো বন্ধ করা হোক।’ একই ভাবে ভিডিও-র মাধ্যমে অপপ্রচার বন্ধ করতে ২৫ কিলোবাইটের চেয়ে বেশি তথ্য সম্বলিত এমএমএস-ও একসঙ্গে পাঁচটির বেশি পাঠানো যাবে না। তবে ব্যাঙ্ক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, রেলের তরফে যে সব গুচ্ছ এসএমএস পাঠানো হয়, সেখানে এই নিষেধাজ্ঞা থাকছে না।
তবে এসএমএস এবং এমএমএস নিয়ে কেন্দ্রের জারি নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছে টেলিকম শিল্পমহল। তার জেরে শনিবার দিনভর বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে গ্রাহকদের মধ্যেও। প্রযুক্তিগত কারণে পোস্ট-পেড পরিষেবায় এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় সমস্যা তৈরি হওয়ায় শনিবার থেকে শুধু প্রি-পেড পরিষেবার ক্ষেত্রেই তা কার্যকর করছে সংস্থাগুলি। টেলিকম শিল্পের দাবি, এই নির্দেশ প্রথমে পোস্ট-পেড এবং প্রি-পেড, দু’ধরনের মোবাইল পরিষেবার ক্ষেত্রেই কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরে দেখা যায়, প্রযুক্তিগত কারণে পোস্ট-পেড পরিষেবায় তা সমস্যাজনক। সে কথা টেলিকম শিল্পের তরফে ডট-কে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। শনিবার থেকে প্রি-পিড পরিষেবাকেই নিষেধাজ্ঞার আওতায় রেখেছে ডট।
গ্রাহকদের দাবি, বহু ক্ষেত্রেই এখন জরুরি বার্তা পাঠানোর অন্যতম হাতিয়ার এসএমএস পরিষেবা। যদিও টেলিকম সংস্থাগুলির দাবি, নিষেধাজ্ঞার চেয়ে কেউ বেশি এসএমএস বা এমএমএস পাঠালে সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মেনে চলার কথা বললেও টেলিকম শিল্পের দাবি, নিষেধাজ্ঞার জন্য তাদের আয় কমবে। তাদের হিসেবে, ১৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা কাযর্কর হলে আয় ৭-৮%-এর মতো কমবে। |