মানুষ যাতে দ্রুত বিচার পায় সে জন্য তাঁর সরকার উদ্যোগী হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। বম্বে হাইকোর্টের সার্ধশতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বিষয়ে বিচারবিভাগের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করতে চান তিনি।
সম্প্রতি বেশ কিছু মামলার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন, আইনসভা ও বিচারবিভাগের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আদালত এক্তিয়ারের বাইরে যাচ্ছে বলে সরব হয়েছেন অনেকে। এই বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রীও। টাকার বিনিময়ে বিচার পাওয়া যায় বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়ে আদালত অবমাননার মামলা পর্যন্ত হয়েছে। কিন্তু, আজ বিচারবিভাগের সঙ্গে সহযোগিতার সুরই শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর মুখে।
মনমোহন বলেন, দেশে ফৌজদারি মামলার সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইন কমিশন বর্তমান বিচারব্যবস্থায় কিছু অদলবদলের কথা ভাবছে। চেক বাউন্স সংক্রান্ত মামলার সমাধানে আইন কমিশনের চেয়ারম্যানের অধীনে কয়েক জন মন্ত্রীকে নিয়ে একটি দল গঠন করা হয়েছে। |
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস এইচ কপাডিয়া। বম্বে হাইকোর্টে। ছবি: পিটিআই |
এনআই অ্যাক্টে কী পরিবর্তন করা যায় ওই দল তা খতিয়ে দেখছে। বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে এবং সব স্তরের মানুষের কাছে বিচার পৌঁছে দিতে ২০১১ সালে ‘ন্যাশনাল মিশন ফর জাস্টিস ডেলিভারি’ গঠন করে ইউপিএ সরকার। বিচারপতিদের অবসরের বয়স বাড়ানোর জন্য সংবিধান সংশোধনী বিল সংসদে পেশ করা হয়েছে। সিভিল সার্ভিসের ধাঁচে একটা সর্বভারতীয় জুডিশিয়াল সার্ভিস গঠনের কথাও তাঁর সরকার ভাবছে বলে মনমোহন জানিয়েছেন।
প্রশাসন বাস্তব উপযোগিতার তত্ত্ব মেনে চলে। আর বিচারবিভাগ চলে আইনের নীতি মেনে। তা-ই মাঝে মাঝেই এই দুই বিভাগের দ্বন্দ্ব শুরু হয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি এস এইচ কপাডিয়া। তবে আদালতের নিজের এক্তিয়ার ছাড়ানো উচিত নয় বলে মনে করেন তিনি। কপাডিয়ার বক্তব্য, কোনও রাজনৈতিক প্রশ্ন আদালতে মীমাংসার জন্য এলে তা গভীর ভাবে বিবেচনা করা উচিত। যদি আইনে সেই প্রশ্নের জবাব না থাকে তবে তার মীমাংসা প্রশাসন বা আইনসভার হাতে ছেড়ে দিতে হবে। |