গল্ফ গার্ডেনে ধর্ষণের অভিযোগে ধৃত যুবককে ২৭ অগস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। শরিফুল আলি মোল্লা নামে ওই যুবককে শনিবার আলিপুর আদালতে হাজির করে পুলিশ। ধর্ষণের তথ্যপ্রমাণ হিসেবে অভিযোগকারিণীর পোশাক এ দিনই ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মহিলা বিবাহিতা। তাই অভিযোগ যাচাইয়ে ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্টেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন তদন্তকারীরা। ডাক্তারি পরীক্ষার প্রাথমিক রিপোর্টে মহিলার দেহে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। অভিযুক্ত ২২ বছরের শরিফুল দক্ষিণ কলকাতার একটি গল্ফ ক্লাবে চাকরি করেন বলে তাঁর আত্মীয়েরা জানিয়েছেন। তাঁর দিদি সাকিলার অভিযোগ, ভাইকে ফাঁসানো হয়েছে। ওই মহিলার সঙ্গে ভাইয়ের পুরনো সম্পর্ক। মহিলার স্বামী এই সম্পর্কের বিষয়ে জেনে ফেলার আশঙ্কাতেই তিনি শরিফুলের নামে মিথ্যে অভিযোগ এনেছেন।
গল্ফ গার্ডেনের মাদারতলা বস্তির (হরিপদ দত্ত লেন) যে ঘুপচি ঘরটিতে টেনে নিয়ে গিয়ে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ, সেখানে এ দিন কন্ডোমের প্যাকেট ও কয়েকটি বিয়ারের বোতল উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই ঘরের সামনে দিয়ে গেলেই এলাকার কিছু ছেলে স্থানীয় মহিলাদের উত্ত্যক্ত করে বলেও এলাকায় অভিযোগ রয়েছে। ‘ধর্ষিতা’ মহিলা পুলিশকে জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ তিনি মেয়ের জন্য ওষুধ কিনতে যাওয়ার সময় শরিফুল ও কয়েক জন যুবক তাঁকে ওই ঘরে নিয়ে যায়। হাত-পা বেঁধে শরিফুল তাঁকে ধর্ষণ করে। ঘণ্টা খানেক পরে তাঁর চিৎকার শুনে একটি শিশু পাড়ার লোকেদের বিষয়টি জানায়। তখন ওই মহিলার স্বামী এবং কয়েক জন স্থানীয় বাসিন্দা মিলে ঘরটির তালা ভেঙে মহিলাকে উদ্ধার করেন। সেই সময় শরিফুলও ওই ঘরের ভিতর ছিল বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলাকে প্রথমে এম আর বাঙুর এবং পরে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। রাতেই মহিলার বয়ানের ভিত্তিতে গণধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়। গ্রেফতার করা হয় শরিফুলকে। ওই ঘর থেকে মহিলার চটি-সহ বেশ কিছু নমুনাও সংগ্রহ করা হয়। তবে তার সঙ্গীদের কারওকে এখনও ধরা যায়নি। ডিসি (সাউথ-সুবার্বন) সুজয় চন্দ বলেন, “তদন্ত চলছে। মূল অভিযুক্ত ইতিমধ্যেই ধরা পড়েছে।” |