কলকাতা বিমানবন্দরে ট্যাঙ্কারের পরিবর্তে ভূগর্ভস্থ পাইপ লাইনের মাধ্যমে জ্বালানি নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্ডিয়ান অয়েল। প্রধানত নাশকতার সম্ভাবনা এড়াতেই এই ব্যবস্থা বলে জানান বিমানবন্দরের অফিসারেরা। একই কারণে বিমানবন্দরের ভিতরেও ট্যাঙ্কারের ব্যবহার কমিয়ে ফেলা হচ্ছে। বিমান যেখানে দাঁড়ায়, সেই পার্কিং বে-র তলা পর্যন্ত জ্বালানির পাইপ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে জ্বালানি ভরা হবে বিমানে।
প্রতি মাসে গড়ে ১২ থেকে ১৫ হাজার কিলোলিটার জ্বালানি লাগে বিমানবন্দরে। হলদিয়ায় ইন্ডিয়ান অয়েলের তেল শোধনাগার থেকে সেই জ্বালানি ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে আসে বিমানবন্দরে। ৬ নম্বর গেটের কাছে ইন্ডিয়ান অয়েলের ডিপোয় সেই জ্বালানি মজুত করা হয়। যে ট্যাঙ্কারে করে জ্বালানি আসে, তার চালক-সহকারীরা বিমানে তেল ভরতে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে ঢোকেন। তেল সংস্থার এক কর্তার কথায়, “ট্যাঙ্কারের চালক-সহকারী প্রায়ই বদল হয়। ফলে, তাঁদের সম্পর্কে তথ্য রাখা মুশকিল।” বিমানবন্দরের নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত অফিসারেরা জানান, বিমানবন্দরে ঢোকার মুখে প্রতিদিন ট্যাঙ্কার, চালকের কেবিন তল্লাশি হয়। তবু নাশকতার সম্ভবনা থেকে যায়। হলদিয়া থেকে ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে বিমানবন্দরে জ্বালানি নিয়ে আসার ক্ষেত্রে ঝুঁকি ও ঝামেলা থাকে। গাড়ি খারাপ হওয়া, ট্যাঙ্কার উল্টে যাওয়া, বন্ধ-অবরোধের মতো ঘটনা ঘটে। জ্বালানি পৌঁছতে দেরি হয়।
ইন্ডিয়ান অয়েল সূত্রের খবর, হলদিয়া থেকে পাইপলাইনের একাংশ আসবে গঙ্গার তলা দিয়ে। এই কাজ অনেকটা এগিয়েছে। দক্ষিণেশ্বর থেকে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে তা পৌঁছবে বিমানবন্দরে। যে বিমানগুলি যাত্রী নিয়ে কলকাতা থেকে যায়, তাদের অনেকে কলকাতায় জ্বালানি ভরে। বিদেশি বিমানও জ্বালানি নিতে নামে। বিমানবন্দরের ৫৬টি পার্কিং বে-এর ৫০% ক্ষেত্রে পাইপ লাইন মারফত জ্বালানি পৌঁছনোর ব্যবস্থা রয়েছে। পাইপলাইন আসে বিমানবন্দরের ৬ নম্বর গেটের কাছে তেল সংস্থার ডিপো থেকে। বিমানবন্দরের অধিকর্তা বি পি শর্মা জানান, সব পার্কিং বে-এর নীচে পাইপলাইনের ব্যবস্থা হচ্ছে। এ জন্য ৪০ কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে।
|
কুখ্যাত দুষ্কৃতী পুলিশের জালে
নিজস্ব সংবাদদাতা |
এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী পিনাকী মিত্র ও তার দুই শাগরেদকে গ্রেফতার করল লেকটাউন থানার পুলিশ। শুক্রবার রাতে লেকটাউনের বসাক বাগান থেকে এই তিন জনকে গ্রেফতার করা হয় বলে পুলিশি সূত্রের খবর। গত কয়েক দিন টাকা চেয়ে এলাকার এক প্রোমোটারকে পিনাকী হুমকি দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। ওই প্রোমোটার পুলিশে অভিযোগ জানানোর পরে পিনাকী ও তার দুই সহযোগী লাল্টু এবং ক্যারাটে মনোজকে গ্রেফতার করা হয়। আরও খবর, পিনাকীর অধীনে এক সময় হাতকাটা দিলীপ কাজ করত। পরে দিলীপ অন্য দল তৈরি করলে পিনাকীর সঙ্গে শত্রুতা শুরু হয়। |