মাস চারেক আগে শেষ হয়ে গিয়েছে নতুন টিকিট কাউন্টার নির্মাণ। অথচ তা চালু হয়নি আজও। মানকর স্টেশনের নতুন টিকিট কাউন্টার নিয়ে এমনই অভিযোগ যাত্রীদের। এমনকী দ্রুত কাউন্টার চালু করার দাবিতে পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের ডিআরএমকে চিঠিও দিয়েছেন ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। ডিআরএম জগদানন্দ ঝা-র আশ্বাস, দ্রুত খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মানকর গ্রামেই প্রায় ৪০ হাজার মানুষের বসবাস। এছাড়া বুদবুদ ও আউশগ্রাম ২ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দাদেরও নিকটবর্তী স্টেশন মানকর। সমস্ত লোকাল ট্রেন এবং বেশ কিছু দূরপাল্লার এক্সপ্রেস ট্রেন থামে এই স্টেশনে। ফলে সারাদিনই যাত্রীদের ওঠা-নামা চলতে থাকে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে একটিই মাত্র টিকিট কাউন্টার থাকায় সমস্যায় পড়ছিলেন যাত্রীরা। এছাড়া ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মের ওই কাউন্টারটিতে সংরক্ষিত আসনের টিকিট কাটার ব্যবস্থা ছিল না। স্থানীয় বাসিন্দারা রেল দফতরের কাছে আবেদন করেন, প্রতিদিন বিভিন্ন প্রয়োজনে অনেক যাত্রীকেই টিকিট সংরক্ষণ করতে হয়। কিন্তু মানকরে সেই পরিষেবা না থাকায় তাঁদের ছুটতে হয় দশ কিমি দূরের পানাগড়ে। কাজেই অবিলম্বে একটি সম্পূর্ণ টিকিট কাউন্টার চালু করার দাবি জানান তাঁরা। রেল দফতর সেই দাবি মেনেই বছর খানেক আগে নতুন টিকিট কাউন্টার ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে। মাস চারেক আগেই শেষ হয় কাজ। কিন্তু তারপরেও স্থানীয়দের অভিযোগ, নতুন কাউন্টারটি চালুর ব্যাপারে কোনও হেলদোল নেই রেল দফতরের।
এলাকার বাসিন্দারা জানান, পুরনো ভবনে একটাই টিকিট কাউন্টার হওয়ায় দিনের বেশিরভাগ সময়ই কাউন্টারে লম্বা লাইন লেগে থাকে। অনেক সময় ট্রেন ধরার তাড়া থাকলে টিকিট কাটতে কাটতেই ট্রেন চলে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা নিত্যযাত্রী সুকুমার পাল জানান, বারবার রেল কতৃর্পক্ষের কাছে আবেদন করেও কোনও সুফল না পেয়ে তাঁরা ডিআরএমকে নতুন টিকিট কাউন্টারটি চালু করতে চিঠি লিখেছেন। বুদবুদ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি রতন কুমার সাহা জানান, যেভাবে বর্তমান কাউন্টারটি চলছে তা রীতিমতো বিপজ্জনক। কারণ কাউন্টারের পাশেই রেল লাইন। যে কোনও মুহুর্তে বিপদ ঘটতে পারে। মানকরের বাসিন্দা অশোক পাল পড়াশোনার জন্য থাকেন কল্যাণীতে। তিনি জানান, কোলফিল্ড এক্সপ্রেসে আসন সংরক্ষণ করতে হলে সেই পানাগড় স্টেশনে যেতে হয়। এখানেই যদি এবার সংরক্ষণ করা যায় তাহলে আমার মতো অনেকেই উপকার পাবেন। স্থানীয় বাসিন্দা কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, “টিকিট কাউন্টারটি প্ল্যাটফর্মের মধ্যে হওয়ায় দাঁড়ানোর জায়গা কম। মাথার উপর শেডও নেই। কাজেই বর্ষাকালে টিকিট কাটতে গিয়ে ভিজতে হয়।”
এখন ডিআরএম-এর আশ্বাসে কবে নতুন কাউন্টার চালু হয় তারই অপেক্ষায় রয়েছেন যাত্রীরা। |