আশি হাজার দর্শক উঠে দাঁড়িয়ে তাঁকে অভিনন্দন জানাচ্ছে, অলিম্পিক স্টেডিয়াম ফেটে পড়ছে গর্জনে।
তিনি বিশ্বরেকর্ড করেননি, পদকও জেতেননি। কিন্তু তবু প্রতিটা দর্শক তাঁকে কুর্নিশ করেছে। কারণ একটাই। তিনি যে পদকের চেয়ে অনেক বেশি কিছু জিতে ফিরছেন। ইচ্ছাশক্তি থাকলে মানুষ কোথায় পৌঁছতে পারে, তা এই লন্ডন অলিম্পিকে যিনি দেখিয়ে দিয়ে গেলেন তাঁর নাম অস্কার পিস্টোরিয়াস।
“এত আবেগ, এত ভালবাসা। অলিম্পিক ফাইনালে দৌড়চ্ছি...সব কিছু আমার প্রত্যাশাকে ছাপিয়ে গিয়েছে,” গত কাল ৪×৪০০ রিলে ফাইনালের পর বলেছেন পিস্টোরিয়াস। |
তাঁর দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা রিলেতে কোনও পদক জিততে পারেনি ঠিকই, কিন্তু পিস্তোরিয়াসের লড়াইয়ের প্রতিফলন শুধু তো পদক-মঞ্চে আটকে নেই, ছড়িয়ে গিয়েছে মানুষের জীবন যুদ্ধেও।
এক বছর বয়স হওয়ার আগেই দু’পা অস্ত্রোপচার করে বাদ দিতে হয়। কৃত্রিম পা-কে সঙ্গী করেই স্বপ্ন দেখা শুরু। চেয়েছিলেন, নিছক প্যারা অলিম্পিক নয়, আসল অলিম্পিকেই লড়বেন। সেই স্বপ্ন সফল করে দেশে ফেরার আগে পিস্টোরিয়াস বলে যাচ্ছেন, “আমার জীবনের স্মরণীয়তম অভিজ্ঞতা হয়ে থাকল লন্ডন অলিম্পিক। মানুষের এই ভালবাসাই হয়তো চার বছর পরে আমাকে আবার অলিম্পিকে ফিরিয়ে আনবে।”
|
ব্রোঞ্জ জিতে তাঁরা আনন্দ পেয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু সেই আনন্দও যেন পিছনে চলে গিয়েছে আরও একটা খবরের কাছে। গত কাল ফুটবলের তৃতীয় স্থান নির্ণায়ক ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়া ২-০ গোলে জাপানকে হারিয়ে ব্রোঞ্জ জেতে। এই ব্রোঞ্জ জেতার ফলে কোরীয় ফুটবলারদের আর সেনাবাহিনীতে কাজ করতে হবে না। কোরিয়া সরকার আগেই ঘোষণা করে দিয়েছিল, ফুটবলাররা ব্রোঞ্জ জিতলে তাঁদের বাধ্যতামূলক সেনাবাহিনীর কাজ থেকে রেহাই দেওয়া হবে। পদক আর সরকারি ছাড় দুইয়ে মিলে আনন্দে প্রায় পাগল হয়ে যান ফুটবলাররা। কোচ হং মিয়ং বো বলেছেন, “ড্রেসিংরুমের হাল একেবারে খারাপ হয়ে গিয়েছিল। ফুটবলাররা পাগলের মতো যা পেরেছে এ’দিক ও’দিক ছুড়েছে। আমি তো ঢুকতেই পারিনি ড্রেসিংরুমে।”
|
সমাপ্তি অনুষ্ঠানে স্পাইস গার্ল |
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিল ড্যানি বয়েলের চমক। সমাপ্তি অনুষ্ঠানে থাকবে স্পাইস গার্ল এবং ‘দ্য হু’-এর মতো পপ গ্রুপ। অলিম্পিক স্টেডিয়াম বদলে যাবে একটা ‘মিউজিক্যাল বক্সে’। গত পঞ্চাশ বছরে ব্রিটিশ সঙ্গীত দুনিয়া দাপিয়ে বেড়ানো প্রায় ৩০ জন গায়ক-গায়িকা অংশ নেবেন এই অনুষ্ঠানে। সমাপ্তি অনুষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা ডেভিড আর্নল্ড মনে করেন, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান যদি বিয়ে হয়, তা হলে সমাপ্তি অনুষ্ঠান হল বৌভাত।
|
ভাঙল ২৭ বছরের বিশ্বরেকর্ড |
অ্যাথলেটিক্স দুনিয়ার সবথেকে দীর্ঘস্থায়ী রেকর্ডগুলোর একটা ভেঙে গেল। ভাঙলেন যুক্তরাষ্ট্রের চার কন্যা, ৪x১০০ রিলেতে। ১৯৮৫-তে এই ইভেন্টে ৪১.৩৭ সেকেন্ডের বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন পূর্বতন পূর্ব জার্মানির মেয়েরা। তার এক বছর পরে জন্ম বিয়াঙ্কা নাইটের। অলিম্পিক স্টেডিয়ামে টিয়ানা ম্যাডিসন, অ্যালিসন ফিলিক্স ও কার্মেলিটা জেটারের সঙ্গে সাতাশ বছরের পুরনো রেকর্ড ভাঙায় শরিক ছিলেন যিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মেয়েরা নতুন রেকর্ড গড়লেন ৪০.৮২ সেকেন্ডে। |