গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)-এ তাঁদের পছন্দসই সদস্যদের মনোনীত করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আর্জি জানালেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ। মঙ্গলবার মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন বিমল গুরুঙ্গ-সহ মোর্চা নেতৃত্ব। সরকারি সূত্রের খবর, সেখানে তাঁরা আগামী ৪ অগস্ট জিটিএ গঠনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীকে উপস্থিত থাকার জন্য ফের অনুরোধ করেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সাম্প্রতিক দার্জিলিং সফরের সময়েই জিটিএ গঠনের বিষয়টিকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে উল্লেখ করে সেখানে উপস্থিত থাকার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। রাজ্যের মুখ্যসচিব সমর ঘোষ এ দিন বলেন, “গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিষ্ট্রেশনের প্রধানের পদের নাম হবে চিফ এক্সিকিউটিভ বা সি ই।” |
৫০ আসন বিশিষ্ট জিটিএ-তে ৫ জন মনোনীত সদস্য থাকার কথা। সেই প্রসঙ্গ তুলে মোর্চা নেতৃত্ব মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁদের পছন্দসই ব্যক্তিদের নামের তালিকা জমা দেন। ওই তালিকায় আদিবাসী বিকাশ পরিষদ থেকে ‘বহিষ্কৃত’ তথা মোর্চার অনুগামী বলে পরিচিত জন বার্লার নামও রয়েছে। গুরুঙ্গ বলেন, “হাইকোর্টের মামলার হলফনামা দিতে কলকাতায় এসেছি। আমাদের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে জিটিএ-র পাঁচ নির্বাচিত সদস্যের নাম দিয়েছি। তাঁদের মধ্যে জন বার্লার নামও রয়েছে।” সরকারি তরফে অবশ্য মোর্চার পছন্দের প্রার্থীদের মনোনীত করা হবে কি না, সেই ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। জিটিএ চুক্তি অনুসারে, ৪৫ জন নির্বাচিত সদস্যের পাশাপাশি ৫ জন মনোনীত সদস্য থাকার কথা। সেই সদস্যদের রাজ্য সরকার ঠিক করবে। এ ক্ষেত্রে মোর্চার মতামতকে প্রাধান্য দেওয়ার ব্যাপারে জিটিএ চুক্তিতে কিছু বলা নেই। সরকারি সূত্রেই জানা গিয়েছে, সার্বিক পরিস্থিতি বিচার করে মনোনীত সদস্যদের নাম ঠিক করবে রাজ্য সরকার। উল্লেখ্য, সুবাস ঘিসিংয়ের আমলে দার্জিলিং গোর্খা পার্বত্য পরিষদেও মনোনীত সদস্য ছিলেন। মূলত রাজ্য সরকারই নিজের পছন্দের প্রার্থীদের সেখানে মনোনীত করতেন।
বিমল গুরুঙ্গ জিটিএ-র প্রথম সি ই হতে চলেছেন। জিটিএ গঠনের আগে পূর্বতন দার্জিলিং গোর্খা হিল কাউন্সিলের প্রধানের পদের নাম ছিল চেয়ারম্যান। জিটিএ-র ক্ষেত্রে তা বদল হয়ে সি ই হল। মুখ্যসচিব জানান, ৪ অগস্ট জিটিএ-র শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমকে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাজ্যপাল। পুরনো ডিজিএইচসি-কে বাতিল করে জিটিএ গঠনের বিজ্ঞপ্তি জারি হবে ২ অগস্ট। পরের দিন, ৩ অগস্ট জিটিএ-র সি ই-র নাম নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হবে। |