বরাবাজার থানার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় ডাকাতির ঘটনা ঘটল। মঙ্গলবার দুপুরের ওই ঘটনায় ৬ জনের একটি দুষ্কৃতীদল ওই ব্যাঙ্ক থেকে ৬ লক্ষেরও বেশি টাকা ডাকাতি করে পালিয়েছে। পুলিশ তদন্তে নামলেও সন্ধে অবধি কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। যদিও পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, “দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করা গিয়েছে। আশা করছি দু’একদিনের মধ্যে দলটিকে গ্রেফতার করা যাবে।”
পুলিশ ও ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুর ১টা নাগাদ বরাবাজার-বলরামপুর রাস্তার ওপর ভবানীপুর গ্রামের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কটিতে ওই ডাকাতদল হানা দেয়। ব্যাঙ্কের ক্যাশিয়ার তরুণ সিংহ সর্দার বলেন, “ব্যাঙ্কে ৩-৪ জন গ্রাহক ছিলেন। হঠাৎ সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটা ছেলে হুমকি দিয়ে বলে, যা টাকা আছে সব দিয়ে দাও। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অন্য একটি ছেলে দুম করে আমার মুখে ঘুসি চালিয়ে দিল।” ঘুসি খেয়ে তরুণবাবু টেবিলের উপরে পড়ে গেলে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার বিপিনবিহারিবাবু কী হয়েছে জানতে কাজ ছেড়ে উঠে আসেন। তখনই কোমর থেকে পিস্তল বের করে এক দুষ্কৃতী ম্যানেজারের কানে ঠেকাতেই ব্যাঙ্কে উপস্থিত লোকজন বুঝতে পারেন ব্যাঙ্কে ডাকাত পড়েছে। ব্যাঙ্কে উপস্থিত ভবানীপুর গ্রামের এক বাসিন্দার দাবি, “আমি টাকা তোলার ফর্ম ভরছিলাম। হঠাৎ কেউ আমাকে ধাক্কা দেয়। পড়ে যেতেই দেখি মুখে রুমাল বাঁধা এক যুবক ছোট বন্দুক তাক করে বলছে সবাই চুপচাপ থাকবে, আওয়াজ করলেই গুলি চালিয়ে দেব। এরপরেই তারা আমাদের সবাইকে এককোণে দাঁড় করিয়ে রেখে ডাকাতি করল।” তরুণবাবু জানিয়েছেন, ওই দুষ্কৃতীদল ক্যাশ টেবিলে থাকা ৬ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকা থলিতে ভরে চম্পট দেয়।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুষ্কৃতীরা দু’টি বাইকে করে এসেছিল। পাঁচজন ভেতরে ঢুকেছিল। একজন দরজায় পাহারায় ছিল। দুষ্কৃতীরা হিন্দিতে কথা বলছিল।
জেলা পুলিশ সুপারের দাবি, “ওই দলটিকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। তারা ঝাড়খণ্ড থেকে এসেছিল।” এ দিকে তাঁর অভিযোগ, সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর কথা বলা হলেও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ তাতে আমল দেননি। ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের পুরুলিয়ার চিফ ম্যানেজার রঞ্জনকুমার অবশ্য দাবি, “সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর জন্য আমরা আগেই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আবেদন জানিয়েছিলাম। |