এ বার আর কুয়ো থেকে কষ্ট করে জল তুলতে হবে না। নলকূপ থেকে জল তোলার জন্যও কষ্ট করতে হবে না পুরুলিয়ার মালথোড় উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের। ১১০০ বেশি পড়ুয়ার এই স্কুলে জলের ভরসা বলতে একটি কুয়ো ও গোটা তিনেক নলকূপ। তাতেও প্রচণ্ড গরমের দিনে তাদের সমস্যা মেটে না।
এ বার গ্রীষ্মে জলের জন্য তাদের সমস্যায় পড়তে হবে না। স্কুলেই বসছে গভীর নলকূপ। যা দিয়ে গোটা বিদ্যালয়ে পাইপের মাধ্যমে জল পৌঁছে যাবে। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৭৩ সালে পড়ুয়ারাই বিদ্যালয়ে একটি কুয়ো খুঁড়েছিল। পরে পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠ কর্তৃপক্ষ তা বাঁধিয়ে দেন। পরবর্তীকালে প্রশাসন তিনটি নলকূপও খোঁড়ে। প্রধান শিক্ষক দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তাতেও গ্রীষ্মে পড়ুয়াদের খুবই সমস্যায় পড়তে হয়।
বিদ্যালয়ের বর্তমান পড়ুয়ার সংখ্যা ১১৫৩ জন। প্রধান শিক্ষক বলেন, “কাগজে পড়েছিলাম যে স্কুলে জলের সমস্যা রয়েছে, সেই স্কুলে জলের সমস্যা সমাধানের জন্য সাহায্য করেন পুরুলিয়া শহরের চিকিৎসক সনাতন দত্ত। কিছুদিন আগে বিধায়ক কে পি সিংহ দেও এবং সনাতনবাবুকে জানাই।”
তিনি জানান, বিধায়ক তাঁর এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ও সনাতনবাবু ব্যক্তিগত ভাবে এক লক্ষ টাকা দিয়েছেন। বোরিং করে গোটা স্কুলে নলবাহিত পানীয় জলের পরিকাঠামো গড়তে মোট ৪ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। স্কুলের তহবিল থেকে বাকি অর্থ দেওয়া হয়েছে। শনিবার স্কুলে পানীয় জল সরবরাহের প্রক্রিয়া চালু হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক কে পি সিংহ দেও, চিকিৎসক সনাতন দত্ত, রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের শিক্ষক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। সনাতনবাবু বলেন, “এর আগে ১০টি স্কুলে সাহায্য করেছি। এই স্কুল কর্তৃপক্ষ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। পড়ুয়াদের সমস্যা যাতে দূর হয়, সে জন্য সাহায্য করতে পেরে ভাল লাগছে।” |